মোঃ সাইফল ইসলাম,বাগমারা : রাজশাহী বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের মাড়িয়াগ্রামে স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতনে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী ও হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশতদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বাগমারা গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া গ্রামের মৃত মোঃ আফাজ সরদারের মেয়ে মোছাঃ শিরিনা আক্তার ( ৪০) এর সাথে আনুমানিক গত ২৫ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিত্রুমে একই ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের মোঃ আসব আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল লতিফের সাথে বিয়ে হয় । তখন বিয়ের সময় তাদেরকে যৌতুক হিসেবে (১০,০০০) দশহাজার টাকা দিয়েছিলে মেয়ের পরিবার। বিয়ের পর কিছু দিন তাদের দম্পতি জীবন ভালো চললোও পরবর্তীতে স্বামীর পরকিয়া তার কাল হয়ে দাড়ায়। স্বামী লতিফ প্রথম স্ত্রী মোছাঃ শিরিন আক্তারকে রেখে বাগমারা কাঁচারী কোয়ালিপাড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মোছাঃ ডলি আক্তার কে গোপনে বিয়ে করেন। আব্দুল লতিফ দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাঃ ডলি কে বিয়ের পর থেকে মোছাঃ শিরিন আক্তারের উপর শুরু হয় নির্যাতন। মৃত শিরিন আক্তারের গর্ভের একটি মেয়ে ও দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মৃত শিরিন আক্তার কে টাকার জন্য ও তার বাবার বাড়ি থেকে সম্পতি আনার জন্য স্বামী আব্দুল লতিফসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে বলে জানা যায়। গত (৩০ ই অক্টেম্বর) শত্রুবার দিবাগত-রাতে আনুমানিক ১-২টার দিকে পরিকল্পিতভাবে শিরিন আক্তার কে হত্যা করে শয়ন ঘরে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গিয়ে স্বামীসহ তিনজন কে আটক করে লাশ উদ্ধার করে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মেয়ের বড় ভাই মোঃ মুনসুর রহমান (৫৯) বাগমারা থানায় বাদী হয়ে ৪ জন কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং পাশাপাশি আসামিদের ও জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.