ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এসিড নিক্ষেপ করে রুনু আক্তার (৩৬) নামের এক গৃহবধূর শরীর ঝলসে দেওয়ার অপরাধে দুলাল হাওলাদার (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জারিমানা, পরিশোধ না করলে আরও ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩,অক্টোবর)বিকেলে এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জেলা দায়রা ও জজ মোঃ শহিদুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর আসামি হাসিনা বেগম (৪৬) নামে এক নারীকে খালাস প্রদান করা হয়। জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় দ-প্রাপ্ত দুলাল হাওলাদার রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। সে কাঁঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত তানছুর হাওলাদারের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঁঠালিয়ার পূর্ব ছিটকি গ্রামের লাল মিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রতিবেশী রব্বে আলীর মেয়ে রুনু আক্তারের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। পরে লাল মিয়া হাসিনা বেগম নামে একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও রুনু আক্তারের ২ বছরের মেয়ের খোঁজ খবর রাখতেন বাবা লাল মিয়া। মাঝে মাঝে তাঁর মেয়েকে আদর করে বিস্কুট কিনে দিতেন। এতে লাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগম ক্ষিপ্ত হন। হাসিনা বেগমের প্রোরচনায় তাঁর পরিচিত দুলাল হাওলাদার রুনু আক্তারের শরীরে এসিড নিক্ষেপের ষড়যন্ত্র করেন। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ দিবগত রাত একটার দিকে পূর্ব ছিটিকির বাবার বাড়ি থেকে রুনু আক্তার প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাহিরে বের হন। এ সময় দুলাল হাওলাদার গামলায় ভরা এসিড রুনু আক্তারের শরীরে নিক্ষেপ করেন। এতে তাঁর স্তন, পেট, কোমর, হাত ও পা ঝলসে যায়। এ ঘটনায় পরেরদিন রুনু আক্তারের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে দুলাল হওলাদার ও হাসিনা বেগমসহ চার জনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় এসিড সন্ত্রাস আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কাঁঠালিয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ আবদুস সালাম একই বছর ৭ জুন দুলাল হাওলাদার ও হাসিনা বেগমের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। লাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগমের (৪৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেখসুর খালাস প্রাদন করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন