বাবুল আখতার রানা ,নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরের গহেলাপুর এন.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল ও সরকারী বিধি অমান্য করে নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহীর বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাণীনগর উপজেলার গহেলাপুর এন.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ১৫ মে। করোনা ভাইরাস, সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহী গত ২৩ মার্চ তারিখের ২/এস/১ (খ)/ ১০৬৬ স্মারকের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নতুন কোন কমিটি গঠন হয়নি। পরবর্তীতে গত ১০জুন স্মারক নং-রাশিবো ২/এস/১ (খ) ১০৯৪ এর প্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই তারিখে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান এডহক কমিটি গঠনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহীতে আবেদনপত্র জমা দেন। কিন্তু পরে তিনি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দীন আহম্মেদ নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন। তিনি আরো জানতে পারেন ওই নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য সরকারি বিধি অমান্য ও তার স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষাবোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহীর বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং গত ১৬ আগষ্ট রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দীন আহম্মেদ তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন স্বাক্ষর জাল করিনি। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য আমাকে প্রস্তাব দিলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে এ রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, যদি তিনি অপরাধ করে থাকেন তাহলে অপরাধের শাস্তি মাথা পেতে নিবেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি আমার স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষাবোর্ডে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। তাই তিনি এডহক কমিটি গঠনের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডসহ আমার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাই তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন