আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাই-রাণীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ সংসদীয় আসন। গত ২৭ জুলাই এমপি ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় এই আসনটি শুন্য হয়। এ আসনে উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে ইত্যেমধ্যে তৃণমূলের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলো দাবী তুলেছেন আগামী উপ-নির্বাচনে তাঁদের দুঃসময়ের কান্ডারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আনোয়ার হোসেন বুলু-কে প্রার্থী হিসাবে পেতে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আত্রাই-রাণীনগর এই দুই উপজেলার বিএনপি ও এলাকাবাসীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দল পুনঃগঠন, আন্দোলন সংগ্রাম, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা ও ত্রাণ বিতরণ, ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ড, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাস্তবায়ন, গণসংযোগ করে আসছেন রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। সম্মুখ সারীর যোদ্ধা হিসাবে তিনি (বুলু) এই এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদেন। যুদ্ধ পরবর্তী তার আপন বড় ভাইকে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে আলমগীর কবিরের প্রত্যেকটি নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করেছেন। ২০০৬ সনে আলমগীর কবির বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এলডিপিতে যোগদিলে আত্রাই-রাণীনগরের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ের কান্ডারী হিসাবে শক্ত হাতে নওগাঁ-৬ আসনের নেতাকর্মীদের সংগঠনের পাশ্বে দাঁড়ান আনোয়ার হোসেন বুলু। দীর্ঘ দিন ধরে নেতা তৈরির যে সকল কারখানা বন্ধ ছিল তিনি সেখান থেকে নেতৃত্ব তৈরি করেন। এর মূল্যায়ন হিসাবে ২০০৮ সনে বিএনপি থেকে দলীয় নমিনেশন এবং পরবর্তীতে বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। আলমগীর কবির দলত্যাগের পর সংগঠনকে পুনঃজ্জীবিত করে অত্র আসনের ২টি থানা, ১৬টি ইউনিয়ন, ১৪৪টি ওয়ার্ড এবং ৪৫০টি গ্রামের বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করে গত ১৪ বছরে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসাবে এলাকার কর্মীদের কাছে গ্রহন যোগ্যতার শীর্ষে রয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। যদি বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার বিচার করে দল আগামী উপ-নির্বাচনে বুলুকে দলীয় নমিনেশন দেয় তবে এই আসনটি বিএনপি পুনঃরুদ্ধার করতে পারবে বলে মনে করছেন তৃনমূলের বিএনপি। তৃনমূলের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনায় জানা যায়, দেশে করোনা পরিস্থিতি ও বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের ভাগ্য ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য এবং এই আসনটি পুনঃরুদ্ধার করতে রণাঙ্গনের বীর সময়ের সাহসী সন্তান কর্মীবন্ধব জননেতা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু এখন তাঁদের সময়ের দাবী বলে মনে করছেন তৃণমূলের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেকেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন