পাবনার সুজানগরে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হোসেনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা মীম খাতুন। তবে প্রেমিক সোহাগ পলাতক রয়েছেন। সোহাগ হোসেন উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের বকুল মন্ডলের ছেলে।
জানা যায়, দুই বছর ধরে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের সঙ্গে সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরদারের মেয়ে ও সুজানগর মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী মীম খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরই জেরে সোমবার বিকেল থেকে প্রেমিক সোহাগ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা মীম খাতুন।
মীম বলেন, সোহাগ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার মায়ের সামনে আমাকে নাকফুল পরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে আমাকে নিয়ে সোহাগ ওর একাধিক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতেও গেছে।
মীমের মা মমতা খাতুন বলেন, সোহাগ আমার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাকফুল পরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে একাধিকবার সে আমার বাড়িতে এসেছে, বিয়ের কথা বললে সময় নিয়েছে। সে বলেছে মীমেরও বাবা নেই, আমারও বাবা নেই, সময় হলেই বিয়ে করব, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। শুধু তাই না, সে কৌশলে মীমকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে গেছে। মীম বিয়ের জন্য চাপ দিলে সোহাগ বেশ কিছুদিন এড়িয়ে চলে এবং সব কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
মীম আরও জানান, সোহাগের বাড়িতে আসার পর সে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে সবকিছু ডিলিট করে দিয়েছে। সোহাগ আমাকে বিয়ে না করলে ওর বাড়িতে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মঙ্গলবার রাতেই বিয়ে হয়ে যেত, কিন্তু মেয়ের কোনো অভিভাবক না থাকায় সম্ভব হয়নি। মেয়ের অভিভাবক এলেই বিয়ে দেয়া হবে। তবে প্রেমিক সোহাগ পলাতক রয়েছে।
সোহাগের মা জানান, সোহাগ বেড়াতে গিয়েছে। মেয়েটি বিয়ের দাবিতে আমার বাড়িতে এসেছে। ছেলে এলেই সবকিছু শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ৃ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন