অনেক আগেই মেসির সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছিলো কোচ সিসে সেতিয়েনের সঙ্গে। করোনা মহামারি শুরুর আগেই ন্যাপোলির সঙ্গে যখন ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সা, তখনই মেসি সরাসরি বলেছিলেন, সেতিয়েনের অধীনে বার্সা কিছুই জিতবে না।
যদিও পরে মেসি ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে দাবি করছেন এবং সেতিয়েনেও বলেছেন, এগুলো ‘মিস আন্ডারস্যান্ডিং’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্য প্রমাণিত হলো। লিগের এক ম্যাচ হাতে রেখেই এবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। বরং, শেষ ম্যাচে ওসাসুনার কাছে হেরে রিয়ালকেই শিরোপাটা দিয়ে দিলো বার্সা।
করোনার পর ফুটবল মাঠে ফিরলেও আগের পারফরম্যান্স নিয়ে ফিরতে পারেনি বার্সা। টানা তিনটি ম্যাচ ড্র করা এবং সর্বশেষ ওসাসুনার কাছে হার, রীতিমত ক্ষুব্ধই করে তুলেছে দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে। তিনি সরাসরি দাবি করেছেন, বার্সা হচ্ছে একটি অধারাবাহিক এবং দুর্বল দল।
রিয়াল মাদ্রিদকে স্বীকৃতি দিয়ে মেসি বলছেন, ‘মাদ্রিদই এবারের শিরোপার দাবিদার। তারা ভালো খেলেছে।’ বিশেষ করে করোনার পর টানা ১০ ম্যাচ জিতে রিয়াল প্রমাণ করেছে, তারাই যোগ্য চ্যাম্পিয়ন।
নিজ দলের পারফরম্যান্সে যারপরনাই হতাশ মেসি। ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই তিনি বলেন, ‘দলের খেলোয়াড়দের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, যেন চেষ্টা করেও জেতা যায়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। আর প্রথমার্ধে ওরা (ওসাসুনা) আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। অনেক দিন আগেই বলেছিলাম যে, এভাবে খেলতে থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা খুব কঠিন। এমনকি নাপোলির বিরুদ্ধেও হেরে যাব আমরা।’
এমন পরিণতি কোনোমতেই চাননি মেসি। তিনি সোজাসুজি বলে দিয়েছেন, ‘এভাবে মৌসুম শেষ করতে চাইনি আমরা। তবে আমরা আগাগোড়া এমনই অগোছালো খেলেছি। খুব দুর্বল দেখিয়েছে দলকে। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে জেতার কোনো তাগিদই দেখিনি। অনেক পয়েন্ট নষ্ট করেছি আমরা। এই হারেই সেগুলো প্রতিফলিত। আমাদের নিজেদেরকেই সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখতে হবে। আমরা বার্সা। আমাদের জিততে হবে সবকিছুই। মাদ্রিদের দিকে তাকালে চলবে না। ওরা নিজেদের কাজটা করেছে; কিন্তু আমরা ওদের অনেক সাহায্যও করেছি।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকেই নজর দিতে চান মেসি। তিনি বলেন, ‘এবার সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যা জিততে হলে আমাদের অনেক বদলাতে হবে। যদি এভাবেই খেলতে থাকি, তবে নাপোলির বিরুদ্ধেও হারতে হবে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.