প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে আট মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে তখন উড়ছে জুভেন্টাস। জবাব দিতে বেশি সময় নিলো এসি মিলান। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে লিড নিলো ম্যাচে। পরে আরও এক গোল করে জিতল ৪-২ ব্যবধানে।
ইতালিয়ান সিরি 'আ'তে মঙ্গলবার ৩১তম রাউন্ডের ম্যাচে এমনটাই দেখেছে ফুটবলপ্রেমীরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে লিড নিলেও, ম্যাচের পরের সময়ে তাদেরকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এসি মিলান।
পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাজিওর সঙ্গে জুভেন্টাসের ব্যবধান ছিল ১০, মিলানের কাছে হেরে যাওয়ায় কমে এলো সাতে। টানা ৭ জয়ের পর হারের মুখ দেখল তারা। লিগের ৩১ ম্যাচ শেষে জুভেন্টাসের সংগ্রহ ৭৫ পয়েন্ট।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইতালিয়ান সিরি 'আ'তে জুভেন্টাসকে হারিয়েছে এসি মিলান। যার সুবাদে পয়েন্ট টেবিলেও এগিয়ে তিন ধাপ। জুভেন্টাসের সমান ম্যাচ খেলে বর্তমানে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পঞ্চম।
মিলানের ঘরের মাঠে হওয়া ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে স্রেফ সুযোগই তৈরি করে গেছে দুই দল। জুভেন্টাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কিংবা মিলানের সুপারস্টার জ্বলাতান ইব্রাহিমোভিচের কেউই জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন জুভেন্টাসের আদ্রিয়েন র্যাবিয়ট। এর মিনিট ছয়ের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে থাকা রোনালদো। চলতি আসরে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের এটি ২৬তম গোল।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও আশা হারায়নি মিলান। আক্রমণ করতে থাকে একের পর এক। যার সুফল মেলে ৬২ মিনিটে। লিওনার্দো বনুচ্চির হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি পায় মিলান। স্পটকিক থেকে দলের প্রথম গোলটি করেন ইব্রাহিমোভিচ।
এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আরও দুইবার জাল কাঁপান ফ্র্যাঙ্ক ক্যাসি ও রাফায়েল লিও। এগিয়ে যায় মিলান। ম্যাচের ৮০ মিনিটের সময় জুভেন্টাসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আন্তে রেবিক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.