‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০’ এর খসড়ার ওপর মতামত দেয়ার জন্য সময় বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দল নিবন্ধন আইনের জন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বেশকিছু দল মতামত দেয়নি। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী মতামত দেয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আরও কিছুদিন সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কাছে আইনটির খসড়ার ওপর মতামত দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ইসির বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আজ ৭ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত দেয়ার কথা ছিল।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৪১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবশ্যই ইসিতে দল হিসেবে নিবন্ধন নিতে হয়। এ জন্য প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন নেয়ার জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন।
করোনাকালে নতুন নিবন্ধন আইন না করে পরবর্তীতে করতে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করব। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করবেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নিয়ে আলাদা কোনো আইন নেই। তাই এ উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। অনেকের মতামতই আমরা পেয়েছি। আবার অনেকের মতামত পায়নি।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী আগামীতে নিবন্ধন নিতে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এছাড়া আইন হবে বাংলায়। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), পৌর ও সিটিকে বাংলায় পল্লী, নগর ও মহানগর রেখে নিবন্ধিত দল ও নাগরিকদের কাছে জনমত চাওয়া হয়েছে।
ইসির সূত্র জানায়, বিদ্যমান আরপিওতে নিবন্ধন পেতে তিনটি শর্তের একটি পূরণ করলেই হতো। এবার বলা হয়েছে- শর্তাদির যেকোনো দুটি পূরণ করতে হবে। এরমধ্যে একটি নতুন বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধনের আবেদনের সময় থেকে পূর্ববর্তী দুটি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে একটি আসন পেতে হবে।
বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যেকোনো একটি আসন পেলেই হবে। (অন্তত একটি সংসদীয় আসন পেতে হবে, নির্বাচনে ভোটের ৫ শতাংশ পেতে হবে, কেন্দ্রীয় অফিস এক-তৃতীয়াংশ জেলা কমিটি ইত্যাদি)।
আর রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি পূরণে দলগুলোর গঠনতন্ত্রেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দলের গঠনতন্ত্রে একদলীয় ব্যবস্থা বা দলবিহীন ব্যবস্থা সংরক্ষণ বা লালন করলে নিবন্ধন অযোগ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন