গাইবান্ধায় ফের বন্যা, বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

গাইবান্ধায় ফের বন্যা, বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

জাহিদ খন্দকার,গাইবান্ধা : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি যে কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শনিবার (১১জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।

অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘাঘট, কাটাখালী ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই গাইবান্ধায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার ১৩টি পয়েন্টে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতাও। এতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে নদী ভাঙন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

উলেখ্য, গত সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । ফলে গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত ৬ জুলাই বন্যার পানি বিপৎসীমার নিচে নামার তিনদিনের মাথায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger
Facebook

Emoticon
:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget