আব্দুর রউফ রিপন : নওগাঁর রাণীনগরে বড়গাছা ইউনিয়নের বড়গাছা বাজারের একটি বাড়ি থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২১বস্তা (৬৩০কেজি) ভিজিএফের চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়গাছা বাজারের মোজ্জাফফর হোসেনের বাড়ি থেকে এই চাল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে মজুদ রাখা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে অসহায় ও দু:স্থদের মাঝে এই চালগুলো বিতরন করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল আহমেদ আশিক বলেন ওই বাড়িতে কেউ না থাকা এবং বাড়ির মালিক মোজ্জাফফর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হওয়ার সুযোগে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী বড়গাছা গ্রামের ওয়াহেদের ছেলে বিমান সরকারি চাল ভোক্তাদের কাছ থেকে কিনে জোরপূর্বক মজুদ করে রাখে। ওই বাড়ির ছোট ছেলে মেহেদী হাসান আমাকে ফোনে জানালে আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানাই। তখন প্রশাসনের নির্দেশে চালগুলো ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে মজুদ রাখা হয়েছে। বিমান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলমের নির্দেশনায় দীর্ঘদিন যাবত সরকারি চাল কেনা-বেচার কারবার করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্থানীয়রা এই চালগুলো আটক করে তা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন আমাদের দায়িত্ব ভোক্তাদের কাছে চাল পৌছে দেওয়া। কিন্তু চাল নিয়ে যাওয়ার পর তারা সেই চাল কি করবে সেটা তাদের বিষয়। খবর পেয়ে আমরা এই চাল উদ্ধার করে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক জব্দ করে রাখা হয়েছে। পরবর্তি সিদ্ধান্ত নির্বাহী কর্মকর্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন আমরা সংবাদ পেয়ে চালগুলো উদ্ধার করে জব্দ করেছি। এর সঙ্গে জড়িতদের বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে বিমান পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নওগাঁর পোরশায় সাপের কামড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু
নওগাঁর পোরশায় সাপের কামড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের তলাগানইর খন্দকারপাড়া গ্রামের মোজাহরুল ইসলামের স্ত্রী নাজরিন বেগম (২৫) ও মেয়ে সোনালী পাখি (৩)। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শোয়ার ঘরে ঘুমের মধ্যে তাদের সাপ কামড় দেয়।
নিতপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতের খাওয়া শেষ করে তারা শোয়ার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রাত ১টার দিকে বিষাক্ত একটি সাপ মাকে কামড় দেয়। এ সময় তারা চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাদের পায়ে সাপে কামড়ানোর চিহ্ন দেখতে পান। এরপর রাতেই তারা স্থানীয় ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করান। ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক এর সময় মেয়ে কান্না করলে মা তাকে বুকের দুধ পান করান। এবং দুধের সাথে মেয়ের শরীরে বিষ প্রবেশ করে। তবে ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক এর কাজ না করায় অবস্থার অবনতি হইতে লাগিলে বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়।
পোরশা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম সাপের কামড়ে মা-মেয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন