এবার হাওরে বন্যার্তদের পাশে ঢাবির সৈকত

এবার হাওরে বন্যার্তদের পাশে ঢাবির সৈকত

মোসাইদ রাহাত, সুনামগঞ্জ : টানা ১২১ দিন ঢাকায় নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষকে খাবার বিতরণ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত এবার কাজ করছেন হাওরাঞ্চল তথা সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের জন্য। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০টি পরিবারকে খাবার দিচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে ঢাকার ছিন্নমূল, অসহায় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের টানা ১২১ দিন খাবারের ব্যবস্থা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নেতা। তিনি সেখানে ১০০ দিন দুইবেলার খাবার ও ২১দিন একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করার পর তার ২০ সদস্যের একটি টিম নিয়ে সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গেল বুধবার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের সোনাপুর বেদে পল্লীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেখানে স্থানীয় সোনাপুর বেদে পল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করে তাদের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন প্রথম দিন থেকেই। বর্তমানে তার দলের ২ জন সদস্য অসুস্থ হয়ে ঢাকায় ফিরে গেলেও ১৮ জন নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন এ কার্যক্রম।

এদিকে বন্যায় দু’বেলা খাবার পেয়ে খুশি বেদে পল্লীর পানিবন্দি মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতা তানভীর হাসান সৈকত তাদের পাশে দাঁড়ানোয় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষজন।

সোনাপুর বেদে পল্লী এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমদ বলেন, বড় ভাই আমাদের জন্য যে কষ্ট করছেন তা এর আগে কেউ করেনি। তিনি নিয়ম করে দু’বেলা আমাদের খাওন দিতেছেন। বন্যার পানি ঘরের ভিতর থাকায় চিন্তায় ছিলাম ছেলে-মেয়েরে খাবার কই থকি দিমু। উপরওয়ালাই আমাদের জন্য এই ভাইকে পাঠিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত জানান, বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বেদে পল্লী সোনাপুরে তিন দিন ধরে দুই বেলা খাবার দিচ্ছি আমরা। প্রতিদিন ১৫০ পরিবারকে খাবার দেয়া হচ্ছে। এসব পরিবারে ৪ থেকে ৫ জন সদস্য আছেন। আমরা চেষ্টা করছি ওই এলাকার সবার মধ্যেই খাবার পৌছে দিতে।
তিনি বলেন, আমরা বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে সুনামগঞ্জেই প্রথম কাজ শুরু করেছি। পরে যাব জামালপুর জেলায়। সেখানে সহায়তা শেষে অন্য দুর্গত জেলায় সহায়তা শুরু করব। বাংলাদেশের প্রতিটি বন্যা দুর্গত এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমাদের।

তিনি আরও বলেন, বন্যা কবলিতদের কাছে খাবারের সংকট এখন বড় হয়ে উঠেছে। আমরা তাদের নিকট খাবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। শুধু খাবারের চাহিদা নয়, অন্যান্য চাহিদা মেটানোরও চেষ্টা করবো। তবে এর জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজ করে যাব।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget