মিজানুর রহমান: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বয়ারচরের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ দোকান কর্মচারী খালেদ (৫০) মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। খালেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আর আগে সোমবার (২২ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বয়ারচরের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে একটি দোকানের মালিক মহিবুল ইসলাম নিপু ও কর্মচারী রহমতের মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শহিদ জানান, রাতে তিনিসহ মোট পাঁচজন মহিবুল ইসলাম নিপুর তেলের দোকানে ছিলেন। দোকানের মালিক নিপুসহ তিনজন পেছনে হিসাব করছিলেন। সামনে ছিল দুইজন। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে দোকানের সামনে বিকট শব্দ করে আগুনের লেলিহান শিখা পেছনের দিকে যায়। এ সময় তিনি লাফ দিয়ে বের হতে সক্ষম হন।
মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দোকানের মালিক মহিবুল ইসলাম নিপু ও দোকান কর্মচারী রহমতসহ দুইজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। অগ্নিদগ্ধ হন আরও দুইজন। অগ্নিদগ্ধ খালেদকে (৫০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুবর্ণচর উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মো. নুরনবী জানান, খবর পেয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একটি জ্বালানি তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে ঘটনাস্থলেই দুইজন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলেও তিনি জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন