সালমান ফার্সী, সজল (নওগাঁ) : করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে নওগাঁর প্রান্তিক গো-খামারিরা চরম দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। খামারিরা বলছেন, একদিকে গো-খাদ্যের চড়া দাম, অন্যদিকে গরুর হাটে বেচাকেনা বন্ধ। এতে বড় ধরণের লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গরুর হাট চালুর দাবি জানিয়েছেন জেলার খামার মালিক সমিতির সভাপতি। অবশ্য করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনতে তালিকা করা হচ্ছে বলে জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে ৫টি ষাড় কিনে ছোট একটি খামার গড়েছেন নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার কামরুন্নাহার। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কেনা এসব গরু লাভের আশায় পালন করলেও, করোনা পরিস্থিতির কারণে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে কামরুন্নাহারের।
কামরুন্নাহার জানান, বড় আশা করে গরুগুলো বড় করেছি, এখন লাভ হবে কি হবে না চিন্তার মধ্যে আছি। দু’একজন গরু কিনতে আসছে কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না।
শুধু কামরুন্নাহারই নন, এলাকার মান্নান, রেশমা ও মামুনের মতো প্রান্তিক গো খামারিরাদের একই অবস্থা। একদিকে গো-খাদ্যের চড়া দাম তার উপর করোনার মন্দা বাজার।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গরুর হাট চালুসহ সরকারি সহযোগিতা দেয়ার আহবান জানান খামার মালিক সমিতির নেতা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন