ছামির মাহমুদ : সিলেটের বিশ্বনাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে দু’পক্ষে দুই বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনোকুপা গ্রামের নুরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্যের ভাই সমছু মিয়া পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দু’জনের একজন হচ্ছেন মখলিছ আলী (৬৫)। তিনি উপজেলার মনোকুপা গ্রামের বাসিন্দা ও অলংকারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার বড় ভাই। আর নিহত প্রতিপক্ষের অপরজন হচ্ছেন ওয়ারিছ আলী (৬০)। তিনি একই গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে উভয় পক্ষে আহতদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথের মনোকুপা গ্রামের নুরুল ইসলাম ও সমছু মিয়ার মধ্যে আত্মীয়তার সুবাদে দু’পক্ষের পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত রমজান মাসে দু’পক্ষের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষও হয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যের পার্শবর্তী নিজ গ্রামের আব্দুল আজিজের বাড়িতে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই আজ বিকেলে স্থানীয় বাজার থেকে আসার পথে নুরুল ইসলাম পক্ষের ওয়ারিছ আলীকে হামলা করেন প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন হন।
গুরুতর আহত হন সমছু মিয়ার ভাই মখলিছ আলী (৬৫) ও প্রতিপেক্ষর ওয়ারিছ আলী (৬০)। মুমূর্ষু অবস্থায় মখলিছ আলীকে (৬৫) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর হামলায় আহত হওয়া প্রতিপক্ষের ওয়ারিছ আলী (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে একই হাসপাতালে মারা যান।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাতে সালিশ বৈঠকের কথা থাকলেও এর আগেই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইপক্ষের দু’জন নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার টিউটি অফিসার উপ-পরিচালক (এসআই) দেবাশীষ শর্ম্মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওসিসহ সকলেই ব্যস্ত। আর ঘটনার খবর পাওয়ার পরপর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন