মো.হারুন আল রশীদ, ধামইরহাট (নওগাঁ) : নওগাঁর ধামইরহাটে মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৭ গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার হাজারো কৃষক,শিক্ষার্থী,শিক্ষকসহ সর্ব পেশার মানুষ চলাচল করে। এক্ষুনি পাকা রাস্তা নির্মাণ করা না হলে বর্ষা মওসুমে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
জানা গেছে,ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের অমরপুর ঈদগা মাঠ থেকে চন্ডিপুর পাকা রাস্তা এবং শেখাইপুর থেকে অমপুর পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা । এ মেঠো রাস্তার অমরপুর কায়েম উদ্দিনের বাড়ী থেকে অয়েজ উদ্দিনের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি সম্পন্ন কাঁচা। এ পথ দিয়ে অমরপুর খামারপাড়া, সরকারপাড়া, খুলুপাড়া, মাস্টারপাড়া, হটাৎপাড়া, শেখাইপুর ও মোল্লাপাড়া গ্রামের হাজারো মানুষ আসা যাওয়া করে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি গলে কাঁদায় পরিণত হয়। ফলে পুরো বর্ষা মওসুম জুড়েই রাস্তাটি কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। ফলে এ রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে বেকায়দায় পড়তে হয়। এছাড়া এলাকার শিক্ষার্থীরা এ পথ দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। অমরপুর মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক মো.জুয়েল হোসেন বলেন,কাঁদা রাস্তার কারণে ধানসহ অন্যান্য ফসল হাটবাজারে বিক্রি করতে খুবই কষ্ট করতে হয়। ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অমরপুর সরকারপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম এবং ধামইরহাট মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা বলেন,রাস্তা পানি কাঁদাতে একাকার হওয়ায় ভ্যান-বিক্সা কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তাই হেঁটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
অমরপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.তরিকুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মো.আবু হেনা মুসা বলেন,রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে না।
এলজিইডি ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলী হোসেন বলেন,সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ সড়কটি ডাফ্রট প্রেজেক্ট প্রোফর্মা (ডিপিপি) তৈরি করে সেটি অনুমোদনের জন্য এলজিইডির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রজেক্টটি অনুমোদন পেলে সড়ক পাকাকরণ কাজ শুরু হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন