নওগাঁ প্রতিনিধি: বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্ণিমানে “আমার গ্রাম আমার শহর” গড়ার লক্ষে তৃণমূল পর্যায়ে ডাক, টেলিযাগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা পৌছে দিয়ে আসছে শতাধিক বেকার যুবক ও যুবতীরা। তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রতিটি শহর থেকে গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল ডাকঘরকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় এনে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে জনগনের দোড় গোড়ায় সেবা পৌছে দেয়া অব্যাহত রেখেছে।
সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রতিটি ডিজিটাল ডাকঘরের উদ্যোক্তারা গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নিরবিচ্ছন্নভাবে সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তিসেবা ও দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের মাঝে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ডিজিটাল ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের আয় হতে ২০% টাকা প্রতিমাসে সরকারী কোষাগারে রাজস্ব জমা হয়। বর্তমানে বগুড়া পোস্টাল ডিভিশনের আওতায় এই কাজের সঙ্গে জেলার শতাধিকের উদ্যোক্তারা যুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির আলোকে বিগত ২৬মার্চ হতে আজ পর্যন্ত ডিজিটাল ডাকঘরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ডিজিটাল ডাকঘরের আয়ের প্রধান উৎস হলো কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান। করোনা ভাইরাসের কারণে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। না পারছে তারা কারো কাছে হাত পাততে না পারছে তারা কিছু করতে। উদ্যোক্তারা সরকারী অফিসে কাজ করে বলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বাররাও তাদেরকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করছে না।
বাংলাদেশ ডিজিটাল পোস্ট অফিস উদ্যোক্তা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন মৃধা বলেন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রনোদনার জন্য সারাদেশের ২৩টি পোস্টাল বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তারা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও ডাক বিভাগের মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো কোন যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশিদ বলেন পর্যায়ক্রমে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া সকল মানুষকেই সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন এই কাজের সঙ্গে দেশের কয়েক লাখ বেকার যুবক-যুবতীরা যুক্ত আছে। তারা আজ করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদেরকেও দ্রুত সরকারি প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা উচিত তা না হলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন