নওগাঁর সাপাহারে টেটার আঘাতে আহত মজিবুর মারা গেছে

নওগাঁর সাপাহারে টেটার আঘাতে আহত মজিবুর মারা গেছে

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার উত্তর কলমুডাংগা লালমাটিয়াডাড়া গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে ইটের দেয়াল দিয়ে তার বসত বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছোড়া লোহার কোঁচ (টেটা)র আঘাতে আহত মজিবুর রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাতে মৃত্যু বরন করেছে। এ ঘটনায় সাপাহার থানা পুলিশ রাতেই জড়িত কলমুডাঙ্গা লালমাঠিয়া পাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) মেহের আলীর ছেলে আব্দুল করিম  (৩৮) ও রামাশ্রম শিমুলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জব্বার আলীর ছেলে এরফান আলী (৫৩) কে আটক করে পরদিন জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

মজিবুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা খাতুনের থানায় লিখিত অভিযোগ পত্র সুত্রে জানাগেছে ,সম্প্রতি উত্তর কলমুডাঙ্গা লালমাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন ভোর বেলা ইটের প্রাচীর দিয়ে তার বাড়ির প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়। সকালে এ দৃশ্য দেখে তাদের বাধা নিষেধ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন মজিবুর ও তার স্ত্রীকে মারপিট করতে থাকে।

এক পর্যায় তারা মজিবুরের মাথায় লোহার তৈরী মাছ ধরা কোঁচ (টেটা) দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মাথায় কোঁচ (টেটা) বিদ্ধ মজিবুরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকসানা খাতুন বাদী হয়ে জড়িত ১৫জনকে আসামী করে সাপাহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ জড়িত ওই ৩ ব্যক্তিকে আটক করে পরদিন নওগাঁ জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে।

এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে পুলিশী তৎপর অব্যাহত আছে। অবিলম্বে সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget