আতাউর শাহ্, নওগাঁ: নওগাঁর
সদরের কির্ত্তিপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামবাসীর চলাচলের একটি মাত্র
ভরসার রাস্তা অনেক দিন যাবৎ কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের
অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রায়দিন গ্রামবাসীর চোঁখে মেলে ভ্যান বা হোন্ডা উল্টে
পুকুরে পড়া।
স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যান আর সরকারি দপ্তরে মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তার জন্য কয়েকটি
বছর ধরনা দিয়েছেন এলাকাবাসী। সবাই রাস্তা তৈরি করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
বিদায় করেছেন বহুবার, কিন্তু সেই রাস্তা আর কেউ নির্মাণ করে দেননি।
অবশেষে
গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদা তোলে আর শ্রম দিয়ে নিজেদের রাস্তা
নিজেরাই বানিয়ে ফেললেন। এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন নওগাঁর সদর উপজেলার কির্ত্তিপুর
ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে
গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের প্রায় চারশত লোক অংশগ্রহণ করে সকাল থেকে তারা দা,
কোদাল ও প্রয়োজনীয় সড়ঞ্জাম নিয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজে নেমে পড়েন।
এ
রাস্তার ফলে শিক্ষার্থীরা কম সময়ে নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে।
কৃষকরা সহজে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ঘড়ে তুলতে পারবেন ও বাজারজাত করতে
পারবেন। চলাচলে যোগ হবে নতুন মাত্রা।
গ্রামের
বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের কাছে ধরনা
ধরে থাকায় গত হয় কয়েকটি চেয়ারম্যান, তবে গত চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ ২০১২-১৩
অর্থবছরে ইটসোলিং রাস্তা করে দেন। পুকুরের পাশ ঘেঁষে রাস্তা থাকায় রাস্তা
ভেঙ্গে পুকুরে পরিণত হয় এতে গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগ পোহায়।
কাজের
উদ্যোক্তা রওশন আলী বাপ্পি বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বার সবার কাছে অনেক বার
রাস্তাটির সংস্কারের দাবি জানানো হইছে। কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই আমরা
গ্রামবাসী নিজেরাই উদ্যোগটা নিয়েছি। গ্রামের ধনী-গরিব সবাই সাধ্যমতো চাঁদা
আবার কেউবা বাগানের বাঁশ দিয়েছে। আর তাতেই পুকুরের পাশে বাঁশের
প্যালাসাইডিং করে রাস্তা নির্মান কাজ শুরু করেছি।
ইউপির
চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান বলেন, হরিরামপুর গ্রামের রাস্তার পাশে পুকুর বেশি
থাকায় প্যালাসাইটিং করে রাস্তা করার মতো বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদের থাকেনা,
তাদের বহুদিনের দাবি ও গ্রামবাসির অভিযোগ শতভাগ সত্য ও অভিযোগ ছাড়া
জনপ্রতিনিধি থাকেনা, তবে আমি এইটুকু বলতে পারি ঐ রাস্তার জন্য এডিপি
প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১কোটি টাকার মতো বাজেট হয়েছে, আমি বিগত ছয় মাস ধরে
এ কথা গ্রামের মানুষদের বলেছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন