নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। অপরদিকে পরিবহন চলাচল না করায় সবজির বাজার নিন্মমুখী। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজির ন্যায্য দাম পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কৃষকদের সবজির ন্যায্য দাম দিতে এবং কর্মহীনদের সহযোগীতা করতে এগিয়ে নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিমান কুমার রায়। তিনি নিজস্ব উদ্যোগে করোনায় অসহায়দের মাঝে শাকসবজি বিতরন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের তাজের মোড়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে বেগুন, করলা, পুই শাক , লাউ, মিষ্টি লাউ এক কেজি করে, টমেটো ও কাঁচা মরিচ আধা কেজি করে এবং ডাটা (খুড়া) সহ শাকসবজি বিতরণ করেন।
শহরের চকরামপুর মহল্লার বাসিন্দা ফনি রায় বলেন, তাজ সিনেমা হলে টিকিট মাষ্টারের কাজ করেন। করনোর সাথে সিনেমা হল গুলোর দূর্দিন যাচ্ছে। গত ৬ দিন আগে সরকারি অনুদান পেয়েছিলাম, তা দিয়ে চলছে। আর সামান্য কিছু চাল আছে। ঘরে খাবার থাকলে কি এখানে এসে সবজির জন্য লাইনে দাঁড়াতাম।
কাঁঠালতলী মহল্লার গৃহবধু তানজিলা বলেন, ছেলে-মেয়ে সহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। স্বামী ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী। একজনের আয়ে সংসার চলে। প্রায় এক মাস থেকে স্বামী কোন কাজ করতে না পারায় সংসারে টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। সামান্য যে অনুদান পেয়েছিলাম প্রায় শেষ। খবর পেয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে এসেছি সবজি নেয়ার জন্য। সবজি পেলে কিছুটা সুবিধা হবে।
নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিমান কুমার রায় বলেন, করোনা ভাইরাসে শ্রমজীবীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে শ্রমজীবীরা অনেক স্থান থেকে ত্রাণ পেয়েছেন। করোনায় কৃষক ভাইয়েরা তাদের সবজির ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। কৃষকদের তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম দিতে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। শ্রমজীবী অসহায়দের বিনামুল্যে শাকসবজি দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে। শহরের দয়ালের মোড়, কালিতলা ও ডিগ্রী মোড়ে শাকসবজি দেয়া হবে। যে কেউ ইচ্ছে করলে শাক সবজি নিতে পারবেন। করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতনত ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা যুবলীগ নেতা মানিক রায়, মাসুদ হোসেন ও শুশান্ত সরকার, জেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ ও উৎস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইতোপূর্বে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই হাজার খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, লবণসহ খাদ্য সামগ্রি বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন