নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরের ৪নং পারইল ইউনিয়নের এলজিইডির আওতায় একটি গ্রামীণ রাস্তার পাকা করন কাজে নিম্মমানের উপকরন ব্যবহারের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাজ। এনিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই ইউনিয়নের ৭/৮ওয়ার্ডের বাগবাড়ী বাজার হইতে গুঠুনিয়া গ্রামের ভিতর দিয়ে জাঁটা পর্যন্ত স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় প্রায় ১কিমি গ্রামীণ রাস্তার পাকা করন কাজ শুরু করা হয়। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখার পরে সাব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি নিম্ম মানের ৩নং ইটের খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করেন। এই বিষয়টি স্থানীয় লোকজনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষ রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে এবং নিম্মমানের উপকরন সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আওতায় উপজেলার একাধিক গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজেও একই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবলুর রহমান বলেন রাস্তার কাজে এক নাম্বার ইটের খোয়ার বরাদ্দ থাকলে ঠিকাদার ৩নং নাম্বার ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। আমরা একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও তা আমলে নেওয়া হয় নাই। তাই আমি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনার জন্য ছবি তুলে ফেইসবুকে প্রকাশ করি।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন হেলাল জানান আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের চাপাচাপির কারণেই এই সংকটময় সময়ে রাস্তার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু এই রাস্তার কাজে সিডিউল মোতাবেক খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কোন অনিয়ম করা হয় নাই। আমার শত্রুরা আমার পেছনে লেগেছে। তারাই এই সব মিথ্যে কথাগুলো ছড়াচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন এই সংকটময় সময়ে আমরা উপজেলার সকল উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করেছি। কিন্তু এই রাস্তার কাজ আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শুরু করতে বলিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ওই রাস্তার কাজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ করার ও নিম্মমানের উপকরনগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছি। এরপর ওই রাস্তা পরিদর্শন করে পরবর্তি কাজের নির্দেশনা প্রদান করবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন