নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: ত্রান বিতরন ও বাছাইয়ে কোন অনিয়ম করলে তার কোন ছাড় নাই বলে জানিয়েছেন, নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, করোনায় দূর্যোগ মুহুর্তে সরকার খেটে খাওয়া দিন মজুরদের জন্য যে অনুদান দিয়েছেন তার জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। কর্মহীনদের আগে অগ্রাধিকার দেয়া এবং তাদের খাদ্য নিশ্চিত করা হবে। এজন্য জন প্রতিনিধি, শিক্ষক ও ভোলেন্টিয়ার সমন্বয়ে তালিক প্রস্তুত করবেন। তালিকা তৈরীর পর ত্রান সামগ্রি বিতরণ করা হবে। তবে বাছাই ও বিতরণে যদি কোন ধরনের অনিয়ম করা হয় তহালে কারও ছাড় নাই।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নওগাঁ’র জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ এর সাথে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভায় একথাগুলো বলেন। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে প্রধান মন্ত্রীর নিদের্শে দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে কর্মহীন মানুষদের সহায়তায় সরকারী ভাবে নওগাঁ জেলায় মোট ৫৪১ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই ১২৫ মেট্টিক টন চাল এবং ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিতরন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা হোম কোয়ারেনটাইন মেনে না চলায় ১৭টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এমন ২৬ জনের মোট ১লাখ ৩৭ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা, সামাজিক দুরত্ব বজায় নিয়ম মেনে না চলার কারনে ২৫টি মোবাইল কোর্টে মোট ৬৬ জনের বিরুদ্ধে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা এবং ক্রেতাদের নিকট থেকে অধিক দ্রব্যমুল্য আদায়ের কারনে ১৫টি মোবাইল কোর্টে ২৫ জনের নিকট থেকে ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রানার গ্রæপের নিকট থেকে ২ হাজার পীছ পিপিই পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এই সভায় ১ হাজার পীছ পিপিই নওগাঁর সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্বাবধায়কের নিকট হস্তান্তর করেছেন। এ সময় মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম এমপি, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম, নওগাঁ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মোমিনুল হক এবং সিভিল সার্জন ডা: আ: ম: আখতারুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নওগাঁ জেলায় গত ৭২ ঘন্টায় আর নতুন করে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয় নাই। তবে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৮ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০২ জনকে ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৩৭৬ জন। হোম কোয়ারেনটাইন থেকে মুক্ত হয়ে তাঁরা সবাই সুস্থভাবে জীবনযাপন করছেন। এদের কারও মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষন পাওয়া যায় নি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন