নওগাঁর ধামইরহাটের আলোচিত রায়হান কবিরাজকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাবের অভিযানে কবিরাজের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ ঔষধ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে র্যাবের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশীদ পিপিএম এর নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা বুধবার দুপুরে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাতকুন্ডু মন্ডলপাড়া গ্রামের ভন্ড কবিরাজ রায়হানের বাড়ীতে অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক, মদক ও বিভিন্ন প্রকার তেলসহ কয়েক লক্ষ টাকার ঔষধ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায়ের ভ্রাম্যমাণ আদালতে কবিরাজ রায়হান (৩২)কে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। কবিরাজ রায়হান ওই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। মঙ্গলবাড়ী পলাশতলী গ্রামের অক্টো বিক্সা চালক তরিকুল ইসলাম বলেন, দির্ঘদিন ধরে কবিরাজ রায়হান এলাকার মানুষকে চিকিৎসা ও কবিরাজির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রথম বার রোগির কাছ থেকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে কবিরাজ রায়হান চিকিৎসার শুরু করতো। পনের দিন পর আবারও রোগিকে তার সাথে সাক্ষাত করতে বলতো। এবার রোগিকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ করতে হতো। কিন্তু ফলাফল শুন্য হতো। সে সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা করতো। রায়হান নিজেকে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতো। কিন্ত অভিযানের সময় সঙ্গে থাকা ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আরাফাত ইমাম বলেন, তার একটি ড্রাগ লাইন্সেস আছে। তবে সে বাড়ীতে মিনি চেম্বার দিয়ে এলোপাথিক, আর্য়বেদীক, হোমিও, ঔষধি, কবিরাজী, ঝাড় ফুঁকসহ বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা দিতো। নিজেকে পল্লী চিকিৎসক দাবী করলেও তার কোন সনদপত্র দেখাতে পারেনি।
জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে রায়হান নিজ বাড়ীতে সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা ও কবিরাজি শুরু করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত নিষিদ্ধ ঔষধগুলো ঘটনাস্থলে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন