নওগাঁর রাণীনগরে মারপিট ও জায়গা দখল করে ঘর নির্মান এবং নির্মিত ঘর ভাংচুর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ভাই এবং বোন বাদী হয়ে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে রাণীনগর থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ প্রভাবান্বিত হয়ে এই ঘটনায় বোনের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় অপর মামলার বাদী ভাই হানিফ মন্ডলকে গ্রেফতার করে। গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ভাই ও দুই ভাবীকে মারপিট করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ঘর নির্মানের অভিযোগ ওঠে ছোট বোন সাহারা খাতুনের বিরুদ্ধে। জানাগেছে, উপজেলার গুয়াতা গ্রামের মৃত নবীর উদ্দীনের ছেলে শহিদুল মন্ডল ও মেয়ে সাহারা খাতুন মেওয়ার মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেও স্থানীয়রা বিষয়টি নিরসন করতে পারেনি। ফলে শহিদুল ইসলাম আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন যা বর্তমানে চলমান এবং গত ২১ জানুয়ারিতে ওই মামলার ধার্য্য তারিখ ছিল। অভিযোগ ওঠে হঠাৎ করেই শহিদুলের ছোট বোন সাহারা খাতুন মেওয়া বহিরাগত লোকজন নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ভাইদের বসতবাড়ির খলিয়ানের মাথায় জায়গা দখল করে বাঁশের খুটি পুঁতে ঘর নির্মান শুরু করে। এসময় শহিদুল ও তার লোকজন বাধা দিতে গেলে শহিদুল, শহিদুলের স্ত্রী আনজুয়ারা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জান্নাতুনকে মারপিট করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ঘর নির্মান কাজ শুরু করে। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য ও শহিদুলের ছোট ভাই হানিফ মন্ডলের ভাষ্য অনুযায়ি জানা যায়, শহিদুলের ছোট ভাই হানিফ ঘটনার সময় থানায় গিয়ে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমদের গাছ থেকে বাঁধন খুলে দিয়ে তাদের কে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এ ঘটনার পরপর হানিফ মন্ডল বাদী হয়ে সাহারা খাতুন মেওয়াসহ ৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অপর দিকে নির্মিত ঘর ভাংচুর এবং শ্লীলতাহানীর ঘটনায় বোন সাহারা খাতুন মেওয়া বাদী হয়ে ভাই হানিফ মন্ডলসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এঘটনায় থানা পুলিশ হানিফকে থানায় নিয়ে এসে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে হানিফের দায়ের কৃত মামলার মূল ঘটনাকে এড়িয়ে এজাহার পাল্টিয়ে ইচ্ছে মত সাজিয়ে তার বোনের দায়ের কৃত মামলায় ২১ জানুয়ারি রাতেই হানিফকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রাণীনগর থানা পুলিশ সঠিক মামলা না নেওয়ায় শহিদুলের স্ত্রী ভিকটিম আনজুয়ারা আদালতে ফের সাহারা খাতুনসহ চার জনকে আসামী করে মামলা করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি গ্রহন করে রাণীনগর ও‘সি ও মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তাকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ করেন। আদালতে আদেশ মতে তদন্ত কারী কর্মকর্তা আদালতে হাজির হলেও ও‘সি আদালতে না গিয়ে নিজেকে অসুস্থ্য দেখিয়ে সুকৌশলে এস.আই আব্দুল মুমিনকে গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে পাঠান। এতে আদালত পুনরায় ৫ ফেব্রুয়ারি ও‘সি কে আদালতে আসার জন্য আদেশ দেন। এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, (বিপিএম) বলেন, এ ঘটনায় দু’পক্ষের পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে আমি অবগত আছি তবে থানা পুলিশ যদি কোন বেআইনি কাজ করে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয় হবে। এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে এবং হানিফ নামে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গাছে বেঁধে মার ধরের কথা বললে তিনি বলেন ঘটনাটি আমার জানা নাই। তবে তদন্ত করে ঘটনাটি প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নওগাঁর রাণীনগরে দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টি মামলা, গ্রেফতার ১
নওগাঁর রাণীনগরে মারপিট ও জায়গা দখল করে ঘর নির্মান এবং নির্মিত ঘর ভাংচুর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ভাই এবং বোন বাদী হয়ে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে রাণীনগর থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ প্রভাবান্বিত হয়ে এই ঘটনায় বোনের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় অপর মামলার বাদী ভাই হানিফ মন্ডলকে গ্রেফতার করে। গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ভাই ও দুই ভাবীকে মারপিট করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ঘর নির্মানের অভিযোগ ওঠে ছোট বোন সাহারা খাতুনের বিরুদ্ধে। জানাগেছে, উপজেলার গুয়াতা গ্রামের মৃত নবীর উদ্দীনের ছেলে শহিদুল মন্ডল ও মেয়ে সাহারা খাতুন মেওয়ার মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেও স্থানীয়রা বিষয়টি নিরসন করতে পারেনি। ফলে শহিদুল ইসলাম আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন যা বর্তমানে চলমান এবং গত ২১ জানুয়ারিতে ওই মামলার ধার্য্য তারিখ ছিল। অভিযোগ ওঠে হঠাৎ করেই শহিদুলের ছোট বোন সাহারা খাতুন মেওয়া বহিরাগত লোকজন নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ভাইদের বসতবাড়ির খলিয়ানের মাথায় জায়গা দখল করে বাঁশের খুটি পুঁতে ঘর নির্মান শুরু করে। এসময় শহিদুল ও তার লোকজন বাধা দিতে গেলে শহিদুল, শহিদুলের স্ত্রী আনজুয়ারা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জান্নাতুনকে মারপিট করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ঘর নির্মান কাজ শুরু করে। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য ও শহিদুলের ছোট ভাই হানিফ মন্ডলের ভাষ্য অনুযায়ি জানা যায়, শহিদুলের ছোট ভাই হানিফ ঘটনার সময় থানায় গিয়ে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমদের গাছ থেকে বাঁধন খুলে দিয়ে তাদের কে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এ ঘটনার পরপর হানিফ মন্ডল বাদী হয়ে সাহারা খাতুন মেওয়াসহ ৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অপর দিকে নির্মিত ঘর ভাংচুর এবং শ্লীলতাহানীর ঘটনায় বোন সাহারা খাতুন মেওয়া বাদী হয়ে ভাই হানিফ মন্ডলসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এঘটনায় থানা পুলিশ হানিফকে থানায় নিয়ে এসে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে হানিফের দায়ের কৃত মামলার মূল ঘটনাকে এড়িয়ে এজাহার পাল্টিয়ে ইচ্ছে মত সাজিয়ে তার বোনের দায়ের কৃত মামলায় ২১ জানুয়ারি রাতেই হানিফকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রাণীনগর থানা পুলিশ সঠিক মামলা না নেওয়ায় শহিদুলের স্ত্রী ভিকটিম আনজুয়ারা আদালতে ফের সাহারা খাতুনসহ চার জনকে আসামী করে মামলা করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি গ্রহন করে রাণীনগর ও‘সি ও মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তাকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ করেন। আদালতে আদেশ মতে তদন্ত কারী কর্মকর্তা আদালতে হাজির হলেও ও‘সি আদালতে না গিয়ে নিজেকে অসুস্থ্য দেখিয়ে সুকৌশলে এস.আই আব্দুল মুমিনকে গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে পাঠান। এতে আদালত পুনরায় ৫ ফেব্রুয়ারি ও‘সি কে আদালতে আসার জন্য আদেশ দেন। এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, (বিপিএম) বলেন, এ ঘটনায় দু’পক্ষের পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে আমি অবগত আছি তবে থানা পুলিশ যদি কোন বেআইনি কাজ করে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয় হবে। এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে এবং হানিফ নামে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গাছে বেঁধে মার ধরের কথা বললে তিনি বলেন ঘটনাটি আমার জানা নাই। তবে তদন্ত করে ঘটনাটি প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন