রাজধানীর লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ নিখোঁজের পর খুনের মামলার রায় পিছিয়ে ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুতি না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন।
আদালতের পেশকার ফোরকান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা দুজন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।
১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর ১২ দিন পর একই বছর ১৭ মার্চ মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া। তদন্ত চলাকালে রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাড্ডি উদ্ধার করা হয়।
২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাকিব খান সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরা হলেন- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।
চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মামলাটিতে দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি জয়নাল ও রুস্তম আলী পলাতক আছেন।
মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জন ও রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলম আদালতে সাক্ষ্য দেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন