কথায় আছে, টাকা থাকলে বাঘের চোখও মেলে! এটা কতটুকু সত্যি তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, টাকা থাকলে যে অনেক অসাধ্যও সাধন করা যায় তা নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়! এককালে মহাকাশ থেকে পৃথিবী দেখাও ছিল তেমনই এক অসাধ্য। অথচ আজ সেটি অবলীলায় করে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যদিও সেগুলো চলছে মূলত গবেষণার কাজেই।
তবে সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়, যখন বিদেশ ভ্রমণের মতো মহাকাশ ভ্রমণও হয়ে উঠবে খুবই সাধারণ বিষয়। আজকাল টাকা থাকলেই মানুষ যখন ইচ্ছা তখন দেশ-বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারে; কিছুদিন পরে সেভাবে মহাকাশ, গ্রহ-নক্ষত্র ভ্রমণে বের হবে। তবে এর জন্য যে অঢেল টাকা দরকার, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ বিষয়ক যোগাযোগ ও প্রস্তুতকারক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শিগগিরই চার পর্যটককে পাঁচদিনের জন্য মহাকাশ ভ্রমণে নিয়ে যাবে। স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানে এসব পর্যটককে ঘোরানো হবে। আগামী মে মাসেই যাত্রীসহ ভ্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দু’জন প্রশিক্ষিত নভোচারী নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওয়ানা দেবে ক্রু ড্রাগন।
পর্যটকসহ ভ্রমণে সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছে মহাকাশ ভ্রমণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেস অ্যাডভেঞ্চার। ২০২১ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২২ সালে এই যাত্রা শুরু হতে পারে। সাতজন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মহাকাশ যানটি ফ্লোরিডার কেপ কার্নিভাল থেকে উড্ডয়ন করবে।
এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত জানাতে রাজি হয়নি স্পেসএক্স। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চার পর্যটক নির্বাচিত হয়ে গেলেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।
স্পেস অ্যাডভেঞ্চারের ওয়েবসাইট বর্তমানে বন্ধ। তবে গত জুন মাসের আর্কাইভ তথ্য থেকে জানা যায়, তাদের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মানুষকে মহাকাশে বসবাস, পৃথিবীর চারপাশে ঘোরা অথবা পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেয়া। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই একাধিক গন্তব্যে পর্যটকদের ইচ্ছামতো মহাকাশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
তবে এর জন্য অবশ্যই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে ভ্রমণকারীদের। স্পেস ডটকম জানিয়েছে, স্পেস অ্যাডভেঞ্চারের ট্রিপে অংশ নিতে একেকজনের কয়েক কোটি ডলার খরচ হতে পারে।
মার্কিন ব্যান্ডদল এনএসওয়াইএনসি’র গায়ক ল্যান্স ব্যাস স্পেস অ্যাডভেঞ্চারের ট্রিপের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেই ট্রিপ বাতিল করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন