নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা সাথী ফসল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। এতে অনেকের ঘুরে যাচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জীবনের গতি।
জানা যায়, কৃষকেরা দীর্ঘকাল ধরে একই জমিতে বছরে একটি মাত্র ফসল ফলাতো। এর পরিবর্তে কৃষকেরা বর্তমানে একই জমিতে একটি ফসলের সঙ্গে আরো একটি কোন কোন জমিতে তারও অধিক ফসল সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে আসছে। এর ফলে কৃষকেরা একই সঙ্গে অন্যান্য ফসল একই অজমিতে ফলিয়ে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকার পলি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নজিপুর ঘোষপাড়া গ্রামের সামাদ মন্ডলের ছেলে সালাম মন্ডল তাদের প্রায় সাত বিঘা জমিতে আলুর সঙ্গে পটল, আম বাগানের ভিতর মূলা, কপি, মিষ্টি আলু, আপেল ও বাউকুলের বাগানের ভিতর রসুন, মসুরডাল ও সরিষা সাথী ফসল চাষ করেছে।
সালাম মন্ডল জানায়, এর আগে আমরা একই জমিতে বছরে একটি মাত্র ফসল চাষ করে আসতাম। অত্রাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার পলি অঞ্চল ঘুরে ও দেখে এসে এ সাথী ফসল চাষ আমরা শুরু করেছি। তিনি আরো জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে এ সাথী ফসল ফলিয়ে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। সাথী ফসল চাষ করলে বাড়তি যে ফসল ফলে তাতে অন্যান্য ফসল চাষের সকল খরচ উঠে আসে এবং মূল ফসল থেকে উপার্জিত প্রায় সকল অর্থই আয় হয়। একই এলাকার আনারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোজাফফর রহমান, মতিউর রহমান, লুৎফর রহমান এর সাথে কথা বলা হলে তারা একই ধরণের অভিমত ব্যক্ত করেন।
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, কৃষকদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমি একমত পোষণ করি। তিনি আরো জানান, বিশেষ করে আত্রাই নদীর ধারে পলি অঞ্চলে এ সাথী ফসল চাষের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কৃষি বিভাগ সাথী ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন