ক্রেতা সংকটের কারণে কিছু দিন আগেই ভয়াবহ দরপতনের কবলে পড়ে শেয়ারবাজার। দফায় দফায় দাম কমিয়েও অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারছিলেন না বিনিয়োগকারীরা। এখন সেই সব কোম্পানির শেয়ার দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও কেনা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়।
ধসের কবল থেকে শেয়ারবাজার টেনে তুলতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর বিশ্লেষকরা বলছিলেন-বাজারে যে দরপতন হচ্ছে তা যুক্তিসংগত নয়। মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের কারণে বাজারে দরপতন হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে শেয়ারবাজারের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গ বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থা ফিরেছে। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে চায়। তারই প্রতিফল দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, শেয়ারবাজার উন্নয়নে সরকার অত্যান্ত আন্তরিক। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে যে ধরনের সাহায্য প্রয়োজন সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাবে। সভায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ অচিরেই কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা, আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজারে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজারে মানসম্পন্ন আইপিও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এমন ঘোষণার পর রোববার (১৯ জানুয়ারি) ছিল শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবস। এদিন লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান ঘটে। মাত্র দুই মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গ সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের উত্থান প্রবণতা। ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল সূচক বাড়ে ১৩৫ পয়েন্ট। আর প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে সূচক বাড়ে ২০৪ পয়েন্ট।
সূচক এমন হু হু করে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। এতে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও অনেক কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায় দুটি কোম্পানি। পাশাপাশি আরও ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি রয়েছে।
বকি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক শতাংশের ওপরে দাম বেড়ছে ৩০১টির। ২৮০টির দাম বেড়েছে ২ শতাংশের ওপরে। ৪ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ১৮০টি। ৫ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ১৩০টি। ১০০টির ওপরে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ছে ৬ শতাংশের ওপরে।
এমন দাম বাড়িয়েও অনেক বিনিয়োগকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে পারছে না। যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। অথচ কিছুদিন আগেই এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ৮-৯ শতাংশ দাম কমিয়েও বিক্রি করা যাচ্ছিল না। এতে ভয়াবহ ধস নামে শেয়ারবাজারে। ফলে ৫-১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া ৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবসেই বড় পতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ৪২৩ পয়েন্ট কমে যায়। এর প্রেক্ষিতেই শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নেয়া উদ্যোগের বিষয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এর ফলে আশা করা যায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আর আস্থা বাড়লে বাজারে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম এখন লোভনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাজার যখন ভালো হয় তখন একটা গ্রুপ সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে, বিনিয়োগকারীদের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক থাকা। বিনিয়োগকারীদের উচিত ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশাকরি এখন বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজার ভালো হবে।
সম্প্রতি শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়।
ধসের কবল থেকে শেয়ারবাজার টেনে তুলতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর বিশ্লেষকরা বলছিলেন-বাজারে যে দরপতন হচ্ছে তা যুক্তিসংগত নয়। মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের কারণে বাজারে দরপতন হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে শেয়ারবাজারের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গ বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থা ফিরেছে। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে চায়। তারই প্রতিফল দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, শেয়ারবাজার উন্নয়নে সরকার অত্যান্ত আন্তরিক। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে যে ধরনের সাহায্য প্রয়োজন সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাবে। সভায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ অচিরেই কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা, আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজারে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজারে মানসম্পন্ন আইপিও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এমন ঘোষণার পর রোববার (১৯ জানুয়ারি) ছিল শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবস। এদিন লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান ঘটে। মাত্র দুই মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গ সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের উত্থান প্রবণতা। ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল সূচক বাড়ে ১৩৫ পয়েন্ট। আর প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে সূচক বাড়ে ২০৪ পয়েন্ট।
সূচক এমন হু হু করে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। এতে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও অনেক কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায় দুটি কোম্পানি। পাশাপাশি আরও ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি রয়েছে।
বকি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক শতাংশের ওপরে দাম বেড়ছে ৩০১টির। ২৮০টির দাম বেড়েছে ২ শতাংশের ওপরে। ৪ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ১৮০টি। ৫ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ১৩০টি। ১০০টির ওপরে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ছে ৬ শতাংশের ওপরে।
এমন দাম বাড়িয়েও অনেক বিনিয়োগকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে পারছে না। যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। অথচ কিছুদিন আগেই এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ৮-৯ শতাংশ দাম কমিয়েও বিক্রি করা যাচ্ছিল না। এতে ভয়াবহ ধস নামে শেয়ারবাজারে। ফলে ৫-১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া ৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবসেই বড় পতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ৪২৩ পয়েন্ট কমে যায়। এর প্রেক্ষিতেই শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নেয়া উদ্যোগের বিষয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এর ফলে আশা করা যায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আর আস্থা বাড়লে বাজারে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম এখন লোভনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাজার যখন ভালো হয় তখন একটা গ্রুপ সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে, বিনিয়োগকারীদের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক থাকা। বিনিয়োগকারীদের উচিত ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশাকরি এখন বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজার ভালো হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন