নিজস্ব ডেস্ক: উত্তর জনপদের খাদ্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর রাণীনগরে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানরোপণে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন চাষিরা।
বন্যার পানি ইরি চাষের আবাদি জমি থেকে তাড়াতাড়ি নেমে যাওয়ায় কৃষকরা সময় নষ্ট না করে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে কিছুটা আগেই ইরি-বোরো চাষের জন্য জমি তৈরির পাশাপাশি ধানরোপণ শুরু করছে। চাষিরা নিজ জমিতে আগে ধান লাগানোর জন্য ব্যাস্ত সময় পার করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে রবিশস্য চাষের জন্য রাসায়নিক সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণের ফলে যথা সময়ে রবিশস্য চাষের পরে এবার বুরো ধান চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে চাষীরা।
উপজেলা কৃষি আফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৭ হাজার ৮ শ হেক্টর চাষযোগ্য আবাদি জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই পরিমাণ জমিতে ধান রোপণের জন্য কৃষকরা প্রায় ৮ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেন। আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে কোন প্রকার রোগবালাই ছাড়া চারা ভালো হয়েছে।
বন্যার পানি দ্রুত গতিতে নেমে যাওয়ায় বোরো চাষের জন্য জমি উপযোগী হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকরা শুধু বোরো ধান রোপণের কাজে ঝুঁকে পড়ছে। বোরো ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় কিছুটা বৈরি আবহাওয়া থাকলেও দিনের বেলায় তাপমাত্রার বেশি থাকায় ধান রোপণের পরে ঠান্ডা, ঘণ কুয়াশা জনিত কারণে চারাগুলোর তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন। তাই কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সঠিক সময়ে বোরো ধান লাগানো যথাযথ ভাবে পরিচর্যা, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যে গতিতে কৃষকরা ধান রোপণ করছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি বোরো চাষাবাদ শেষ হবে বলে কৃষকরা জানান।
উপজেলার মিরাট ইউপি’র জামিল, তোফাজ্জল হোসেন, তুষার রহমান, ইউনুছ সাহেব, সিয়াস রহমান সহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোরো ধান লাগানোর উপযোগী আবহাওয়া থাকায় তারা সুযোগ বুঝে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছে। গত বছর ধানের ফলন ভালো হলেও দাম কম থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। তাই বুক ভরা আশা নিয়ে কৃষকরা অনেক কষ্ট করে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষে তারা উঠে পড়ে লেগেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১৭ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ধান লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চাষীরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ক্রমে আগেই বীজতলা তৈরি করে মানসম্পন্ন রোপণ যোগ্য চারা প্রস্তুত করেছে। সুষম সার, আধুনিক পদ্ধতিতে লাইন করে ধান লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা ও যথা সময়ে রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রয়োগের জন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সময় উপযোগী পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে চাষিরা বেশ উৎসাহী হয়ে ইরি- বোরো ধান লাগানো শুরু করেছে।
(২নং ছবি)
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১৭ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ধান লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চাষীরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ক্রমে আগেই বীজতলা তৈরি করে মানসম্পন্ন রোপণ যোগ্য চারা প্রস্তুত করেছে। সুষম সার, আধুনিক পদ্ধতিতে লাইন করে ধান লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা ও যথা সময়ে রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রয়োগের জন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সময় উপযোগী পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে চাষিরা বেশ উৎসাহী হয়ে ইরি- বোরো ধান লাগানো শুরু করেছে।
(২নং ছবি)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন