নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটনে সাহসী ভূমিকা রাখায় র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পিপিএম (সেবা) পদক প্রদান করা হয়েছে। রোববার পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পিপিএম (সেবা) ব্যাচ পরিয়ে দেন। পুলিশে যোগদানের প্রথম কর্মস্থলেই (র্যাব-১) নিজ কর্মদক্ষতায় তিনি এ পদক অর্জন করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে ৪ এপ্রিল নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার মশরইল গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মো. কামরুজ্জামান। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। বাবা সিদ্দিকুর রহমান কৃষক এবং মা সামসুন নাহার একজন গৃহীনি। তিনি ২০০৩ সালে মধইল দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৫ সালে চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনিই প্রথম ওই কলেজ থেকে জিপিএ ৫ অর্জন করেন।
২০০৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উত্তর-বঙ্গের অন্যতম সেরা বিদ্যাপিট রাজশাহী কলেজে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। ২০১২ সালে অনার্সে দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে এবং ২০১৪ সালে একই বিষয়ে দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে মাষ্টার্স পাশ করেন।
এরপর ২০১৪ সালে ১৪ এ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম কাষ্টমস হাউজ, দর্শনা শুষ্ক স্টেশন ও ফরিদপুর কাষ্টম হাউজ, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগে চাকুরি করেন। ২০১৬ সালে ১লা জুন ৩৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদাতে এক বছর বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে বাস্তব প্রশিক্ষণের জন্য গাইবান্ধা জেলায় যোগদান করেন। এরপর ২/২/২০১৮ সালে ঢাকার উত্তরা র্যাব-১ এ যোগদান করেন।
২০১৯ সালের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটনে সাহসী ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পিপিএম (সেবা) পদক লাভ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। পুরস্কারটি আগামীতে আমার কাজের গতি আরো বৃদ্ধি করবে। আগামীতেও এ এভাবেই দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। এজন্য সবার দোয়া ও সহযোগীতা চাই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন