সাপাহারে পিয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকগণ

সাপাহারে পিয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকগণ

নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ): সারা দেশে বাংলা ও বাঙালীর প্রতিটি পরিবারে রন্ধন শিল্পে মসলাদির মধ্যে পিয়াজ অন্যতম মসলা। ইতোমেধ্যেই সেই মসলার পিয়াজ তার ঝাঁজ জানান দিয়েছে সবার কাছে। প্রতিটি পরিবারে রন্ধন প্রক্রিয়ায় কমবেশী পিয়াজের ব্যবহার হয়েই থাকে। তাই এ বছরে পিয়াজ তার আপন ঝাঁজে ব্যাস্ত থাকায় অনেক পরিবারের গৃহিনীরা বিনা পিয়াজে তাদের রন্ধন প্রক্রিয়া চালিয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে। অদুর ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি এড়াতে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার কৃষক কিষানীরা বর্তমানে সর্বস্ব দিয়ে পিয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।
তারই ব্যস্ত চিত্র নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় দেখা গেছে। এ উপজেলার কৃষক কিষানীদের কথা ভবিষ্যতে পিয়াজ বাজারজাত করতে না পারলেও অন্তত সারা বছর ধরে খাবার পিয়াজ টুকু নিজকে আবাদ করতে হবে। তাই তারা নিজের জমি হোক আর অন্যের জমি হোক সকলেই কম বেশী পিয়াজের চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। উপজেলার পিছলডাঙ্গ গ্রামের আব্দুল হাকিম, মদনশিং গ্রামের মফিজ উদ্দীন, কাশিতাড়ার আনারুল, ইসলামপুর গ্রামের ফিরুজ কবির, আজগর হোসেন সহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, তারা প্রত্যেকেই দেড় থেকে দু’বিঘা পরিমান করে পিয়াজের চষাবাদ করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুজিবুর রহমান জানান, এবারে উপজেলায় পিয়াজ থেকে পিয়াজ (কন্দ) পিয়াজের চাষাবাদ হয়েছে ৫৫ হেক্টোর জমিতে যা বর্তমানে ক্ষেত থেকে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া এবছর নতুন আমবাগানে সাথী ফসল হিসেবে ও অন্যন্য জমি সহ ৪শ’হেক্টোর জমিতে পিয়াজ চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমিতে পিয়াজের চারা রোপন কার্য শেষ হয়েছে।
এ বছরের পিয়াজের চাষাবাদ অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার রহমান সেলিম জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে এ বছর সাপাহারে কৃষক কুল কোমর বেধেঁ পিয়াজের চাষাবাদে মনোনিবেশন করেছেন বলে উপজেলার সর্বস্থ্যরের জনসাধারণ জানিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget