প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁর পোরশা দুয়ারপাল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী সনজিত কুমার ও কামাল হোসনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গত শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার সীমান্ত এলাকা নিলমারীবীল ২৩১(১০) এস পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি’র কাছে মরদেহ দু’টি হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) পক্ষে বিএসএফ-১৫৯ এর কোম্পানী কমান্ডার জসি হর্ষি আনুষ্ঠানিক ভাবে মরদেহ হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মরদেহ গ্রহন করেন বিজিবি-১৬ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল আরিফুল ইসলাম।
এ সময় বিজিবি-১৬ নিতপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মোহাম্মদ আলী ও হাঁপানিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোকলেসুর রহমান, পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান, তদন্ত কর্মকর্তা নিরেন চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি-১৬ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল আরিফুল ইসলাম জানান, মরদেহ দুটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী অবৈধ্যভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু নিতে যান। তারা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় পৌঁছলে ভারতের মালদা জেলার ক্যাদারিপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও ভারতের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রণজিত কুমার (২৫) ও কামাল হোসেন (৩২) মারা যান। ফলে তাদের মরদেহ বিএসএফ যোয়ানরা উদ্ধার করে নিয়ে যান। আর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মফিজুল ইসলাম (৩৮) বাংলাদেশের মধ্যে এসে মারা যান। সংবাদ পেয়ে মফিজুলে মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন বিজিবি ও পোরশা থানা পুলিশ।
নিহতরা হলেন, উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে রণজিত কুমার, বিষ্ণপুর দীঘিপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজ উদ্দিন এবং বিষ্ণপুর কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন