ইমাম বিমান : ঢাকায়
উল্টো পথে মটর সাইকেল চালিয়ে আসা পোষাকধারী এক পুলিশ কতৃক সাংবাদিক শেখ
জাহাঙ্গীর আলমকে মটর সাইকেলে চাপা দেওয়া সহ মারধর করা এবং নড়াইল জেলায়
দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সহ সম্পাদক রেজা নওফেল হায়দারের উপর রাজু নামে এক
সন্ত্রাসীর হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা সহ প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক
বান্ধব সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদ ফোরাম " বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ।
২০
জানুয়ারী সোমবার রাত দশটায় দেশের বৃহত্তম সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন "
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও
সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফরের গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ এক বিবৃতিতে জানান,
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত যেভাবে সাংদিককে লাঞ্চিত,
নির্যাতিত ও হামলার শিকারের মাধ্যমে কন্ঠরোধ করে কোনঠাশা করার প্রয়াশ
চালানো হচ্ছে। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না
কোথাও সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
প্রসঙ্গত,
২০ জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার
থেকে মোটর সাইকেলযোগে পান্থপথে কর্মস্থল বাংলা ট্রিবিউন অফিস ফিরছিলেন
জাহাঙ্গীর। তার সঙ্গে ছিলেন আলোকিত বাংলাদেশের সাজ্জাদ হোসেন। সন্ধ্যা
আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটের সময় পরীবাগে উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসা
এক ব্যক্তি তাদেরকে চাপা দেয়। তার পরণে ছিল পুলিশের পোশাক।
এ
সময় জাহাঙ্গীর ও সাজ্জাদ চাপাদেয়া গাড়ীতে থাকা পুলিশের পোষাক পরিহিত
ব্যক্তির কাছে উলটো পথে মটরসাইকেল চালিয়ে এসে চাপা দেয়ার কারন জানতে চাইলে
তিনি অনুসূচনা প্রকাশ না করে বরং সাংবাদিক জাহাঙ্গীরকে লাথি মারেন ও অকথ্য
ভাষায় গালি দেন একই সাথে তার মোটরসাইকেলের নিচে চাপা দিয়ে সাংবাদিকদের মেরে
ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। এ সময় পুলিশি পোষাক পড়া ব্যক্তিটির মটর সাইলের
রেজিষ্ট্রেশন নম্বর লিখে রাখেন যাহার নম্বর ঢাকা মেট্রো- হ-১২-৭৫০৫। বিষয়টি
সেই সাথে তারা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে
জানিয়েছেন।
অপরদিকে " দৈনিক জনকন্ঠ " পত্রিকার সহ
সম্পাদক রেজা নওফেল হায়দার নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলাধীন নড়াগাতি থানার
কলাবাড়িয়া গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে বড় ভাই বর্তমানে সেনাবাহিনীর উর্ধতন
কর্মকর্তা থাকায় তার চাকুরী দেয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে
চাকুরী দেয়ার কথা বলে বহুদিন আগে স্থানীয় এক লোকের কাছ থেকে রাজু নামের এক
লোক বিপুল পরিমান টাকা টাকা নেয়। টাকা নিয়ে চাকুরী দিতে না পারায় ভুক্তভূগী
ব্যক্তি সাংবাদিকের কাছে একটি আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রক্ষিতে ঘটনার
সত্যতা জানতে সাংবাদিক নওফেল ঐ এলাকায় গিয়ে রাজু নামের ঐ ব্যক্তির কাছে
জানতে চান। এবিষয় রাজুর কাছে জানতে চাওয়া হলে রাজু সাংবাদিকের উপর তার
বাহিনী নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তুই কিশের সাংবাদিক বলে এলোপাথারী মারধর শুরু করে।
একই
দিনে ঢাকাতে পুলিশ কতৃক ও নড়াইলে সন্ত্রাসী কতৃক দুই সাংবাদিকের উপর
হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে উল্লেখিত মোটর সাইকেল
নাম্বারধারী ব্যক্তিকে খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সংবাদ সংগ্রহের
সময় সাংবাদিক রেজা নওফেল হায়দারকে হামলাকারী রাজুর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবি করেন বিএমএসএফ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন