‘শীতকালীন আগাম জাতের সবজি ক্ষেতে ভাইরাস দেখা দেয়ায় ফলন বিপর্যয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নওগাঁর চাষিরা। শিমক্ষেতের পাতা হলদে হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাছ। ফসল রক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করলেও ফল পাচ্ছেন না তারা। কৃষি বিভাগ এমন অবস্থায়
কৃষকদের ওইসব কীটনাশক কোম্পানির প্রতারণার ফাঁদে পাঁ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা যায়, জেলার কৃর্তিপুর, বর্ষাইল, চোকগরীসহ অন্তত শতাধিক গ্রামে বিপুল পরিমাণ জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষ করেন কৃষকেরা। ইতোমধ্যে তারা শিম, লাউ, বেগুন, পটল সহ বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেত থেকে তুলে হাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ভালো দামও পাচ্ছেন । তবে এবার শিমক্ষেতে ভাইরাস জনিত পচন ও পাতা হলদে রোগে, মড়ক দেখা দেয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা। চাষিরা বলছেন, শিমের ফুল ফোঁটার পর গাছে পচন ধরে পাতা হলদে হয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন কোম্পানির বালাইনাশক প্রয়োগ করে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি পরিশ্রম ও খরচও বেশি করছি। কোনো কাজই হচ্ছে না। কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন সংস্থা থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আবাদ করে হঠাৎ মড়ক দেখা দেয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। এনজিও থেকে টাকা নিয়ে আবাদ করেছি। কিন্তু এখন তো এনজিওর টাকা পরিশোধ করতে পারবো না। এদিকে সবজি ক্ষেতের অধিক রোগবালাইকে পুঁজি করে মানহীন কিছু কীটনাশক কোম্পানির তৎপরতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নওগাঁর কীটনাশক বিক্রেতা মো. জিয়াউল হাসান। তিনি জানান, ওষুধে কাজ না হওয়ায় আমরাও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি। মানহীন কোনো বালাইনাশক ফসলে প্রয়োগ না করে তাদের পরামর্শ নেয়ার তাগিদ দিযেছেন নওগাঁ সদরের কৃষি কর্মকর্তা মো. মফিদুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, ডিলারে না গিযে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিযে ওষুধ ব্যবহার করলে ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে। চলতি মৌসুমে নওগাঁয় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হযেছে। যার মধ্যে আগাম জাতের শিম আবাদ হয়েছে ১২০০ হেক্টর জমিতে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন