মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় শশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জামাইকে মারপিট ও দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘাটকৈর গ্রামে।
সরেজমিন গেলে ভুক্তভোগী জামাই শামীম আরাফাত জানান, শনিবার দুপুরে আমি,আমার মা খোরশেদা বেওয়া এবং ছোটভাই শাহিন শিমুল ঘাটকৈর শশুর বাড়িতে বেড়াতে যাই। শশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হামলার স্বীকার হয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, গত প্রায় ১ বছর পূর্বে আমি বিয়ে করেছি। বিয়ের পর থেকে আমি এবং আমার স্ত্রী শিউলী আক্তার দুজনে ঢাকাতেই থাকতাম। আমার বাবা বেঁচে নেই। ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর আমার স্ত্রী কামারকুড়ি আমাদের বাড়িতেই ছিলো। গত শুক্রবার শশুর বাড়ির লোকজন এসে নিয়ে যায়। তার পরের দিন শশুর বাড়িতে দাওয়াত করায় আমরা আবার আমার স্ত্রীকে নিতে যাই।
আমি বর্তমানে কালিকাপুর বাজারের একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান দোকানদার। আমার একটি দোকান আছে। আমার কাছে দোকানের মালামাল তোলার জন্য দেড় লক্ষ টাকা ছিলো। সে টাকা নিয়ে আমি শশুর বাড়িতে গেছিলাম। এই মনে করে যে, আমার দোকান শশুর বাড়ির এলাকায় যখন,তখন টাকা দোকানে না রেখে টাকাগুলো নিয়ে শশুর বাড়ি যাই। শশুর বাড়ি থেকে বিকেলে সোজা নওগাঁ গিয়ে দোকানের মালামাল আনবো। অথচ,শশুর বাড়িতে যাওয়া মাত্রই শশুর ঘাটকৈর গ্রামের মৃত তছির উদ্দিন মৃধার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৬০), শাশুরী বেবী বেগম (৫২), আমার জেওশ আর্জিনা বেগম (৩০), এবং আমার স্ত্রী শিউলী আক্তার (২৫) সংঘবদ্ধ হয়ে আমাকে, আমার মা এবং আমার ছোট ভাইকে অতর্কিতভাবে পিটিয়ে যখম করে দোকানের মালামাল কেনার জন্য কাছে থাকা দেড় লক্ষ টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়। আমরা সকলেই প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছি। বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শশুর পরিবারের লোকজনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন