ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরার হস্তক্ষেপে অল্পের জন্য বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ভবানীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন। সে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ডিমা গ্রামের হুমায়ন কবিরের মেয়ে।
জানা যায়, ১২ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১ টায় ৩৩৩ থেকে ফোন ও এসএমএস পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পারেন যে, ভবানীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিনের বিয়ের আয়োজন চলছে। এমন সংবাদে ইউএনও এবং (ভারপ্রাপ্ত) ওসি হুমায়ন কবির ও পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গিয়ে শুনেন কিছ্ক্ষুণ পূর্বেই জেসমিনকে সঙ্গে নিয়ে গোপনে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাবা-মা মান্দার বালুবাজার এলাকার কাজী অফিসের দিকে রওনা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মান্দা উপজেলার ইউএনও আব্দুল হাকিম এবং ওসি মোজাফ্ফর হোসেনকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন নিয়ামতপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা
নিয়ামতপুরের ইউএনও জেসমিনের পিতার সাথে ফোনে কথা বললে, তারা ভয় পেয়ে মেয়েকে নিয়ে মাঝপথ থেকে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। জেসমিন জানায় পারিবারিক অভাব অনটনের জন্য তার বাবা মা বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিল। এ বিষয়ে জেসমিনের পিতা ভুল স্বীকার করেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরার সামনে ১৮ এর আগে মেয়ের বিয়ে দিবেননা মর্মে মুচলেকায় সাক্ষর করেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেলা ১১ টায় ৩৩৩ থেকে ফোনে জানতে পারি বাল্য বিয়ের ঘটনা। ঘটনা স্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করি ও মেয়েটির লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.