আতাউর শাহ্, নওগাঁ: বাবু ঘোরাফেরা করেন মৎস্যজীবীর বেশে। কিন্তু তাঁর শিকারের লক্ষ্য মানুষ। এক এক করে ঠান্ডা মাথায় ২০ জনকে হত্যা করেছেন। চুরি ও লুট করার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণও করেছেন। তাঁর পছন্দের শিকার মধ্যবিত্ত পরিবারের নারী। গ্রেপ্তার হওয়ার পর নাটোরসহ চার জেলার আটটি চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক হত্যার দায় স্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার ওরফে কালু নামেও পরিচিত এই ব্যক্তি।
বাবু শেখ নওগাঁর রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের জাহের আলীর ছেলে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর রেলস্টেশন থেকে তাঁকে তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ভয়ংকর ব্যক্তি (বাবু শেখ) অভ্যাসগত খুনি। তাঁর অপরাধের সব তথ্যপ্রমাণ এখন পুলিশের হাতে। তাঁকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে এই এলাকার বেশ কিছু হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবু শেখ ২০টি খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তবে আটটি খুনের সঙ্গে তাঁর সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর কাছ থেকে আরও অনেক তথ্য জানা যাবে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গ্রেপ্তার বাবু শেখসহ তাঁর সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন কিছু মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে, যার কোনো কুলকিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। বাবু শেখ চংধুপইলের সাবিনা পারভিন হত্যা, জয়ন্তীপুরের রেহেনা বেগম, নাটোরের নলডাঙ্গার বাঁশিলার আমেনা বেওয়া, খাজুরার স্কুলছাত্রী মরিয়ম খাতুন ধর্ষণ-হত্যা, সিংড়ার বিগলগলিয়ার শেফালি খাতুন হত্যা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল গ্রামের রূপবানু, সখীপুর থানার তক্তারচালা গ্রামের সমলা বেওয়া এবং নওগাঁর সদরের একটি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন