মো: সবুজ হোসেন, নওগাঁ: সারাদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যখন কোনঠাসা ঠিক সেই সময়ে মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপি’র দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। দল রক্ষায় সমন্বিত কর্মকান্ড গ্রহণের পরিবর্তে স্থানীয় নেতাকর্মীরা একে অন্যের উপর কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত রয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের এহেন কর্মকান্ডের ফলে এক সময়ের বিএনপি’র ঘাঁটি বলে পরিচিত মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়ছে। দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এবং দিন দিন নিষ্কীয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই সমস্যার উদ্ভব হয়েছে থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে।
উপজেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলা বিএনপি দু’টি গ্রুপে সক্রিয় থাকলেও গত ১১ সেপ্টেম্বর রিয়াছাৎ হায়দার টগরকে আহ্বায়ক ও জাহিরুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর দুই গ্রুপের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। দলের ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের বাহিরে থাকা ব্যক্তিদের অদৃশ্য কারণে আহ্বায়ক কমিটিতে অন্তরভুক্ত করায় উপজেলা বিএনপিতে বিরোধের সূত্রপাত ঘটেছে এবং তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নবগঠিত ওই আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নুর বাস ভবনে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার ১০ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এদিকে ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে দলের অপর গ্রুপের সিনিয়র নেতারা এবং উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গত ১৩ অক্টোবর এসএম আখতার হামিদকে আহ্বায়ক ও শহিদুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেন।
উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার নান্নু বলেন, ‘জেলা বিএনপি যাকে আহ্বায়ক করেছে ওই আহ্বায়ক কমিটির পূর্বে তিনি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির কোনো ইউনিটের সদস্য ছিলেন না। তিনি একাধীকবার ইউনিয়ন ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেই প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। রিয়াছাৎ হায়দার টগরকে আহ্বায়ক করায় দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে তামাশা করা হয়েছে, যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।’
সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নুর ছেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের বিএনপি প্রার্থী পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বলেন, ‘বিতর্কিত ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে অপর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধন হয়ে যাবে।’
উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রিয়াছাৎ হায়দার টগর বলেন, ‘আমাকে আহ্বায়ক করে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে নওগাঁ জেলা বিএনপি। অপর আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি তো সাময়িক, সামনে সম্মেলন করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। অপর আহ্বায়ক কমিটির ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।
উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার নান্নু বলেন, ‘জেলা বিএনপি যাকে আহ্বায়ক করেছে ওই আহ্বায়ক কমিটির পূর্বে তিনি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির কোনো ইউনিটের সদস্য ছিলেন না। তিনি একাধীকবার ইউনিয়ন ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেই প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। রিয়াছাৎ হায়দার টগরকে আহ্বায়ক করায় দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে তামাশা করা হয়েছে, যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।’
সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নুর ছেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের বিএনপি প্রার্থী পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বলেন, ‘বিতর্কিত ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে অপর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধন হয়ে যাবে।’
উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রিয়াছাৎ হায়দার টগর বলেন, ‘আমাকে আহ্বায়ক করে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে নওগাঁ জেলা বিএনপি। অপর আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি তো সাময়িক, সামনে সম্মেলন করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। অপর আহ্বায়ক কমিটির ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন