ঝালকাঠিতে নদী ভাঙ্গনের কবলে দোকনঘর নদীগর্ভে ফেরি গ্যাংওয়ে অচল

ঝালকাঠিতে নদী ভাঙ্গনের কবলে দোকনঘর নদীগর্ভে ফেরি গ্যাংওয়ে অচল

রিপোর্ট : ইমাম বিমান
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলাধীন  ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী এলাকায় আকস্মিক নদী ভাঙ্গনে দোকনঘর নদীগর্ভে বিলীন সহ ফেরির গ্যাংওয়ে বিছিন্ন হয়ে সড়ক পথে যোগাযোগের অচলাবস্থা।

গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনের কবলে ৪ঠি দোকান বিলীন সহ ফেরির গ্যাংওয়ে বিছিন্ন হয়ে গেছে । ফেরির গ্যাংওয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নলছিটির সঙ্গে ঝালকাঠি- বরিশাল'র সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ,সকাল সারে ১০টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ফেরির গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়ে নদীতে তলিয়ে যায়। গ্যাংওয়ে সংলগ্ন ট্রলার শ্রমিক অফিস সহ  ৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় । তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা নদী থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করতে পারলেও অধিকাংশ  মালামাল নদীতে ডুবে গেছে। ফলে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় সকালে দোকান খোলার পর হঠাৎ একটি শব্দ হয়। এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব নদীতে তলীয়ে যায়। ফলে পথে বসতে হবে ওইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।

স্থানীয় ভাবে অনুসন্ধানে জানাযায় যে, গত ২ বছর ধরে সুগন্ধা নদীর ভাঙনে উপজেলার ভবানীপুর, সুরই, হেদুয়া, খোজাখালী, মাটিভাঙা, মল্লিকপুর, বহরমপুর, কাজিপাড়া ষাটপাকিয়া সহ বিভিন্ন এলাকার   নদীতীর্বতী সংলগ্ন ঘর-বাড়ী সহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে আর এখন বর্তমানে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ ধারন করছে । এ বিষয় এলাকাবাসী জানান, নদী ভাঙনের বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। শুধুমাত্র যোগাযোগ সচল রাখতে ঘাটের পাশেই বহরমপুরে একটি বিকল্প ঘাট স্থাপন করা হয় বলে জানান ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এই ঘাটটি স্থাপনের ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হবে বলেও তারা দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ফেরী বিভাগের ষাটপাকিয়ার সুপারভাইজার মোহাম্মদ  মোশারফ হোসেন বলেন, আকস্মিক ভাঙনে ফেরির গ্যাংওয়ে ভেঙে যাওয়া অনির্দিষ্ট কালের জন্য ষাইটপাকিয়া- নলছিটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আমরা জেলা ফেরী বিভাগের মাধ্যমে ক্রেন খবর দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে নতুন করে গ্যাংওয়ে স্থাপন করার পর ফেরি চলাচল করাতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি। 

এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার জানান, সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনে ষাইটপাকিয়ার কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফেরীর গ্যাংওয়ে বিলিন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি এ বিষয় সড়ক ও জনপথ কাজ করছে। গ্যাংওয়েতে কাজ করার জন্য ক্রেন দুপুরে এখানে পৌছাবে। কালকে (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল নাগাদ কাজ শেষ হবে ।

লেবেলসমূহ:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget