রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে
৫ম শ্রেনী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে শীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়। জেলার
সদর উপজেলাধীন ১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে জুথিয়া সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মিন্টু গাইনের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের
৫ম শ্রেনী পড়ুয়া এক ছাত্রীর বসতঘরে ঢুকে শীলতাহানি চেষ্টা অভিযোগ করেন
ছাত্রী ও তার অভিভাবক।
এ বিষয় ৫ম শ্রেনী পড়ুয়া ঐ
ছাত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে সে জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পরে
আমি আমার দাদার বাড়ীতে যাই। আমি ক্লান্ত থাকায় আমি দাদার ঘরে শুয়ে পড়ি তখন
আমার দাদা দাদী কেউ ঘরে ছিলো না। হঠাৎ মিন্টু কাকা আমাদের বাড়ীতে এসে
আমাদের ঘরে ঢুকে আমার কাছে দাদা-দাদী বাড়ীতে আছে কিনা জানতে চায়। এ সময়
আমার দাদা-দাদী বাসায় নেই বললে সে আমার কাছে খাবারের জন্য পানি চায় আমি কেউ
বাসায় নেই, আমি পানি দিতে পারবো না বললে সে ঘরে ঢুকে নিজেই পানি খায়। পরে
বিছানায় আমাকে শোয়া অবস্থায় দেখে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা
করে। আমি কোন রকম জোড় করে তার কাছ থেকে ছুটে দৌড়ে ঘরের বাহিরে যাই। এরপর সে
ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ বিষয় আমার দাদা-দাদী বাড়ীতে আসলে আমি তাদেরকে
জানাই।
ছাত্রীর দাদীর কাছে মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়
জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মিন্টু আমার নাতীর সাথে প্রায় সময়ই দুষ্টমি
করতে চাইতো বিষয়টি আমার নাতী আমাকে বহুবার বলায় প্রায় দিন মিন্টুকে আমি
বারন করেছি। কিন্তু মিন্টু আমার কথা না শুনে আমার নাতীর উপর এভাবে ঝাপিয়ে
পরবে তা কখনো ভাবতেও পারিনি। আমি এর সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য ঝালকাঠি সদর
থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয় অভিযুক্ত
দপ্তরী মিন্টু গায়েনের মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমার
বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। আমি স্কুলের সকল কাজ শেষে স্কুল বন্ধ করে কাঠের
মিস্ত্রীর কাজ করি। সেই সূত্র ধরে আমি মেয়েটির দাদার ঘরে কাঠমিস্ত্রীর কাজ
করতাম। আমার কাজ শেষ হয়ে গেলে তাদের ঘরে যন্ত্রপাতি রেখে আশি। সেই
সূত্রধরে গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর স্কুল বন্ধ করে আমার যন্ত্রপাতি
আনার জন্য বিকেল তিনটায় মেয়েটির দাদার বাড়ীতে যাই এবং তাদের ঘরে গিয়ে
মেয়েটির কাছে দাদ কোথায় আছে তা জানতে চাই তখন মেয়েটি একা ছিল ঘরে আর কেউ
ছিল না। আমি মেয়েটিকে এক গ্লাস পানির জন্য বলি তখন সে পানি না দেয়ায় আমি
ঘরে ঢুকে পানি খেয়ে চলে আসি। চলে আসার সময় এক বৃদ্ধা আমায় দেখে আমার
বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে আমাদের স্কুলের সামনের
দোকানদার মনু ফকির গত বৃহস্পতিবার সালিশি করে আমাকে মেয়ে এবং তার অভিভাবকের
কাছে পা ধরে মাফ চাইতে বললে আমি তাদের পা ধরে মাফ চাই। তবে এলাকার কিছু
যুবক টাকা খাওয়ার জন্য বাদীদের মামলা করার জন্য চাপ দেয়। আমি মেয়েটিকে
ধর্ষণ করিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। মিন্টু তার বিরুদ্ধে আনিত
অভিযোগ ভিত্তি বলায় গত বছর একই এলাকার আরেকটি মেয়েকে আপনি শীলতাহানি করছেন
বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে এবং সে বিষয় আপনাকে শতর্ক করে ইউপি চেয়ারম্যান
গোলাম মাওলা মাছুম শেরোয়ানি মিমাংশা করেছেন বলে আমরা জানতে পারি এ বিষয়
আপনি কি বলবেন বলে জিজ্ঞাসা করলে তার কাছ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ
বিষয় ঝালকাঠি সদর থানার সেকেন্ড অফিসার ফারুক মৃধার কাছে জানতে চাওয়া হলে
তিনি জানান, ছাত্রীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে আজ একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ
বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন