রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও তার পরকিয়া প্রেমিকাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
ঝালকাঠি
জেলার কাঠাঁলিয়া উপজেলাধীন দক্ষিণ চেচরী গ্রামের আলম খান (৪৫) ওরফে আলো
খান ও তার পরকিয়া প্রেমিকা একই এলাকার প্রতিবেশী লাল মিয়ার স্ত্রীর পাখি
বেগমকে আলমের স্ত্রী বিউটি বেগমকে হত্যার দায়ে তাদের উভয়কেই যাবজ্জীবন
কারাদন্ড সহ পাখি বেগমকে আর্থিক ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই
মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও
দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গাজী রহমান এ রায়
ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঠাঁলিয়া
উপজেলার দক্ষিণ চেচরী গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রীর পাখি বেগমের সাথে তিন বছর
যাবৎ পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই এলাকার প্রতিবেশী আলো খানের। পরকিয়া
প্রেমের জেরধরে ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে
তর্ক-বির্তক শুরু হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী আলো খান তার স্ত্রী
বিউটি বেগমকে (৪০) গলাটিপে হত্যা করে বাড়ির পাশের একটি কচুক্ষেতে স্ত্রীর
লাশ ফেলে দেন। ঘটনায় নিহত বিউটি বেগমের ভাই ফোরকান বাদী হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি
আলো খান ও তার পরকিয়া প্রেমিক পাখি বেগমকে আসামী করে কাঠাঁলিয়া থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ সাত মাস তদন্ত শেষে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর পুলিশ
পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও ১২
জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে মামলায় অভিযুক্ত আসামীদ্বয়ের দোষ প্রমানীত
হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসমীদের উপস্থিতিতে আসামী আলো খানকে আমৃত্যু
যাবজ্জীবন ও পাখি বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা
করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক
প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল এবং আসমী পক্ষে ছিলেন
অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম সরফরাজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন