রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে
চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় দুইজনকে ফাঁসি সহ ৩ জনকে যাবজ্জীন
কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও
দায়রা জজ আদালতে দীর্ঘ শুনানী ও ১৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে
অভিযুক্তরা দোষী প্রমানীত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও
দায়রা জজ শেখ মোঃ তোফায়েল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদলতের
বিজ্ঞ বিচারকের রায়ে দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্য গ্রহনের
অভিযুক্ত আসামি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের মৃত আবুল
হোসেনের ছেলে খায়রুল আলম ওরফে শেখ হাসান এবং একই গ্রামের মৃত জালাল সরদারের
ছেলে পিল্টন ওরফে পিন্টুর বিরুদ্ধে বাদীর অানিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায়
তাদেরকে আদালত মৃত্যু দন্ডের আদেশ দেন এবং সেই সাথে অপর তিনজন
একই
গ্রামের আবুল হোসেনের দুই ছেলে রিপন মিয়া ও সালাম মিয়া এবং আব্দুস
সোবাহানের ছেলে সাহাদাৎ হোসেন হত্যা মামলায় জড়িত থাকায় তাদেরকেও যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন আদালত। অপরদিকে হত্যা মামলার সাথে জড়িত থাকার
কোন প্রমানা না পাওয়ায় আসামী গিয়াস ও মামুনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার
বিররণে জানাযায়, ২০০২ সালের ১৭ মে রাতে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট
ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামে নিহত আনোয়ারা বেগমের ছেলে লিটন সিকদারকে হত্যা ও
তাদের বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে দন্ডিতরা। এসময় লিটন সিকদারের মা আনোয়ারা
বেগম কুপি বাতি জ্বালিয়ে দিলে তিনি আসামীদের দেখে ফেললে আসামিরা তা বুঝতে
পারেন। আসামীরাও একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় তাদোরকে চিনে ফেলায় তখন
আসামীরা আনোয়ারা বেগমকেও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন থানায় একাটি
মামলা হয়। পরে উক্ত মামলা জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ (সিআইডি) তদন্ত করে
২০০৩ সালের ১০ অক্টোবর একই এলাকার ৭ জনকে আসামী করে একাটি হত্যা মামলা
দায়ের করে।
২০০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি
আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১৫ জন
স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রায়
ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা
করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট এম আলম খান কামাল এবং
আসামী পক্ষে ছিলেন আব্দুর রশিদ শিকদার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন