নওগাঁ প্রতিনিধি: অর্থ-সম্পদ না থাকলেও জীবনে সুখের অভাব ছিল না নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তিলাবদুরী গ্রামের আমেনা বেগমের (৫৫)। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। এরপর দিনমজুর স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল তার। কিন্তু হঠাৎ আসা এক ঝড়ে জীবন-সংসার ল-ভ- হয়ে গেছে আমেনার।
আমেনার স্বামী মকবুল প্রামাণিক জানান, বছর খানেক আগে বাম স্তনে ব্যথা অনুভূত হয় আমেনার। এরপর গ্রাম্য কবিরাজ ও চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়েও ব্যথা ভালো হয়নি। পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা স্তন ক্যান্সার বলে সন্দেহ করেন। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেলের ক্যান্সার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় আমেনাকে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে তার।
তিনি বলেন, বাড়ির এক টুকরো ভিটা ছাড়া কোনো জমিজমা নেই। দিন এনে দিন খেয়ে জীবন চলে আমাদের। আমেনা অসুস্থ হওয়ায় বাড়িতে থাকা দুইটি গরু বিক্রি করে দেই। কিন্তু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেই সেই টাকা শেষ। এখন আর বিক্রি করার মতো কিছুই নেই।
মকবুল জানান, বর্তমানে গ্রামের হোমিও চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খাচ্ছেন আমেনা। কিন্তু দিনদিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে তার। ব্যথা বুক থেকে হাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিছানা থেকে উঠে বসতেও অনেক কষ্ট হয় তার। এ সময় নিজের স্ত্রীকে বাঁচাতে বিত্তবানদের সহযোগীতা চান তিনি।
আমেনার ছেলে আপেল প্রামাণিক বলেন, মায়ের অবস্থা দিনদিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাকে খুব দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া জরুরী। কিন্তু একদিন কাজ না করলেই খাবার জোটে না আমাদের, চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করবো কিভাবে? এখন অন্য কেউ সহযোগীতা না করলে ধুকে ধুকে মরতে হবে আমার মাকে।
আমেনা বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য শেষ সম্বল গরুগুলোও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। আরতো কিছু নাই। বুকের যন্ত্রণা সহ্য হয় না, কিন্তু চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নাই। তাই আল¬াহ যত তাড়াতাড়ি মৃত্যু দেয় ততই ভালো।
আমেনার চিকিৎসার সহযোগীতার জন্য যোগাযোগ কিংবা টাকা পাঠাতে পারেন ০১৭৪৩-৮৭২০৪৫ এই বিকাশ নাম্বারে (আমেনার ছেলে আপেল প্রামাণিক)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন