নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ শাকিলা আক্তার শ্যামলী (৩৫)কে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী মাসুদ রানা (৪০) কে ঢাকায় আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাতে ঢাকার শাহ আলী থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাসুদ রানাকে আটক করে। সোমবার বিকেলে তাকে ঢাকা থেকে রাণীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন গত আগস্ট মাসের ১তারিখে স্বামী মাসুদ রানার মারপিটে তার স্ত্রী শাকিলা আক্তার শ্যামলী তার নিজ বাসায় গুরুত্বর আহত হন। এরপর শ্যামলীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিন রাতে স্বামী মাসুদ রানাকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে মাসুদ রানা পলাতক ছিলেন। অবশেষে গত রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার শাহ আলী থানা পুলিশ তাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তাকে জেল হাজতে প্রেলন করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার দাউদপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে শ্যামলী আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় উপজেলার সিম্বা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে মাসুদ রানার। বেশকিছুদিন পূর্ব থেকে শ্যামলী জানতে পারে যে তার স্বামী মাসুদ রানা একাধিক মেয়ের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকে শুরু হয় পারিবারিক কলহের। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে মাসুদ রানা ঠিকঠাক মতো খোজখবর নিতো না শ্যামলী ও তার সন্তানদের। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য দুই পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা চেষ্টা করেও তা সমাধান করতে পারে নাই। ঘটনার বেশকিছুদিন আগে থেকে মাসুদ রানা নিরুদ্দেশ থাকলেও আগস্ট মাসে বাড়িতে আসেন মাসুদ। আর পরকিয়ার প্রেম ও বিয়ে করার জেরেই মাসুদ রানা তার স্ত্রী শ্যামলীকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন