ছাতিয়ানগ্রাম স:প্রা:বিতে ঝুঁকিতে পাঠদান
তরিকুল ইসলাম জেন্টু,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের ৬ কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবনটিতে ফাটল এবং ছাদের পলেস্টার খুলে শিক্ষার্থীদের গায়ে ও মাথায় পড়ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সরজমিন বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পুরনো ওই ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে প্রায় ৩২৭ জন শিক্ষার্থী। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৪ সালে একটি নতুন পাকা ভবন নির্মাণ করে। নির্মাণের ২৫ বছর পারুতেই ছাদের পলেস্টার খুলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের গায়ে এবং মাথায় পড়ছে। ফলে ওই ভবনে সীমাহীন কষ্ট ও আতঙ্কে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র মিনহাজ ও সৌরভ জানায়, আমরা ভয়ে ভয়ে ক্লাস করি। এর আগে বেশ কয়েকবার পলেস্টার খুলে আমাদের হাতে পড়েছে। আজ অল্পের জন্য এক সহপাঠির মাথায় না পড়ে গায়ে পড়ায় সে বেঁচে যায়। ক্লাসের এ অবস্থার জন্য অনেকে ক্লাসে আসতে চায় না। ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক আখতারুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ে এমন অবস্থায় ছেলেকে পাঠাতে ভয় লাগে, কখন ছাদের পলেস্টার খুলে মাথায় পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা খাতুন বলেন, শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে আশপাশের ১৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিইসি পরিক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারনে গত কয়েক বছর যাবৎ কৈকুড়ি বিদ্যালয়ে সাব-সেন্টার করে ৭টি বিদ্যালয়ের পিইসি পরিক্ষা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে এ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি শ্রেণীতে শাখা করা প্রয়োজন। কিন্তু শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যালয়ে জন্য একটি নতুন দ্বিতল একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের সভাপতি সুলতান আহম্মেদ জানান, বিদ্যালয় মাঠের উত্তর পার্শ্বে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট এবং দক্ষিন পার্শ্বে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আলাদা ভবন হওয়ায় রোদ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষকদের ক্লাসে যেতে হয়। এছাড়া একদিকে শ্রেণীকক্ষ সংকট অপরদিকে পলেস্টার খুলে পড়ছে এতে আমরা মহাবিপাকে পড়েছি। বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান ভালো হলেও বর্তমানে শ্রেণিকক্ষের এমন অবস্থায় পাঠদানে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সামছুল ইসলাম দেওয়ান জানান, বিষয়টি জানার পর উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসারকে বিদ্যালয় পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠোনো হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন