রিপোর্ট : ইমাম বিমান:ব্যারিস্টার
সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সুমন কুমার
রায়ের পৃথক আইনে একাধিক মামলা করার ঘোষনাকে " অন্যায়ের প্রতিবাদের উৎসাহ
হারাবে " বলে মনে করেন সাংবাদিক তথা বিশিষ্ট কলামিষ্ট আবুল কালাম আজাদ।
এ বিষয় সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবুল কালাম আজাদ তার প্রতিক্রিয়াতে জানান,
সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি- সুমন কুমার রায়
তার ব্যবহারিত ব্যক্তিগত প্রফাইলে স্ট্যাটাস দেয়ার মাধ্যমে তিনি বর্তমান
সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সোস্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে মামলার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন। আর ব্যারিস্টার সায়দুল হক সুমনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে মামলা করার
কথা জানতে পেরে সায়দুল হক সুমন বলেন, মামলা করা একটি সাংবিধানিক অধিকার।
যে কেউ কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। এটাই বাংলাদেশের নিয়ম হওয়া উচিত বলে
তিনি মনে করেন আজ তার এ কথা দ্বারাই কি প্রমানিত হয় না যে তিনি আইনের
প্রতি, দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল যেখানে আইনজীবী সুমনও
এ দেশের নাগরিক তাই তিনি আইনজীবী সুমন কতৃক তার বিরুদ্ধে মামলার
প্রস্তুতির কথা শুনেও সে তার কথা না ভেবে সে নাগরিক স্বাধীনতার উপর
গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই সায়দুল হক সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা আর
"অন্যায়ের প্রতিবাদের উৎসাহ হারানো" একই বলে মনে করি।
সাংবাদিক
আবুল কালাম আজাদ এ বিষয় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তরুণ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব,
সাংবাদিক ও কলামিস্ট- আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সমাজে
অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো সাহসী মানুষের বড়ই অভাব। ব্যরিষ্টার সায়েদুল হক
সুমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলো সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে
জনসম্মুখে তুলে ধরেন, সজাগ ও সচেতন করেন প্রশাসনসহ সাধারণ জনগণকে। খুব
অল্পসময়ে সকল পেশা শ্রেণীর মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই
আইনজীবী। সম্প্রতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেত্রী প্রিয়া
সাহা, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে, দেশের মান ক্ষুন্ন করে,
সারাদেশে ঝড় তুলেছেন।
তথাপি
বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়াসহ সমস্ত পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধে নিন্দা ও
প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো ন্যাক্কারজনক অপরাধে, তার
বিরুদ্ধে দেশের অসংখ্য সাধারন নাগরিক মামলার প্রস্তুতি নেয়। তারই অংশ
হিসেবে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন (১৯ জুলাই) রাতে তার ফেসবুক লাইভে
প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে মামলা করার ঘোষণা দিয়ে, কোটি
কোটি বাঙ্গালীর প্রসংশা কুড়িয়েছেন। এবং গতকাল রবিবার পেনাল কোডের ১২৩ (এ),
১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার জন্য ব্যারিস্টার সুমন আদালতে
আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে খারিজের আদেশ দেন।
সম্প্রতি
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইসলামী উগ্র মৌলবাদী দ্বারা
তার বাড়ীঘর পুরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ৩৭ মিলিয়নে অধিক হিন্দুদের দেশ ছাড়া
করেছেন আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেশের সর্ব স্তরের মানুষ যেখানে হিন্দু বৈদ্ধ
খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের দায়িত্বশীল পদে থাকা প্রিয়াকে দেহদ্রহীতার দোষারোপ
করছেন ঠিক ব্যরিস্টার সায়দুল হক সুমুন এ দেশের নাগরিক হিসেবে প্রিয়ার
বিরুদ্ধে ফেইসবুক লাইভে মামলা করার ঘোষনা দেন। আজ বেরিস্টার সুমন সহ
প্রিয়ার বিরুদ্ধে সারাদেশ থেকে দায়েরকৃত সবগুলো মামলাই আদালত খারিজ করে
দেয়। সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের
বিরুদ্ধে মামলা নতুন একটি বিতর্কিত বিষয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
এ
বিষয় উক্ত আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে
একটি এবং মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করার
প্রস্তুতি নিচ্ছি। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে দুই ধরনের
অভিযোগ আনার সুযোগ আছে। একটি ২৯৫ (ক) ধারায়। অপরটি ফেসবুক লাইভে মানহানি
করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধিত ধারায় অভিযোগ আনা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন