ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি
জেলার সদর উপজেলাধী নবগ্রাম ইউনিয়নের খাদৈক্ষিরা গ্রামে ডাকতি হওয়া ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলী মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন। ১৬
জুলাই মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন নবগ্রাম
ইউনিয়নের খাদৈক্ষিরা গ্রামে একই রাতে পাশাপাশি দুটি বাড়ীতে চুরি ও ডাকাতির
ঘটনায় টিপু সুলতান ও তার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলি মিয়ার বাড়ি
পরিদর্শন করেন। সেই সাথে টিপু সুলতানের ঘর চুরি ও তার বড় ভাই কাঞ্চন আলি
মিয়ার ঘরে ডাকাতির সাথে জড়িতদের দ্রুত বের করে মূল রহস্য উদঘাটনের আশ্বাষ
দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসান, ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শোনীত কুমার গাইন
উপস্থিত ছিলেন।
প্রসংগত,
গত ২ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের সময় নবগ্রাম ইউনিয়নের
খাদৈক্ষিরা গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলী
মিয়ার পাকা বসত ঘরের সামনে স্থাপিত ফ্লাক্সিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে
ঢুকে মূল দরজা ভেঙ্গে ৮ জন লোক অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে। দরজা খুলে ঢোকার পর
ডাকাত দল কাঞ্চন আলী মিয়ার হাত পা বেধে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্নী করে সেই
সাথে তার প্রতিবন্ধি মেয়ের সামনে অস্ত্র ধরে বার বার হত্যার হুমকি দেয়।
কন্যার হত্যা করার ভয় দেখালে প্রতিবন্ধী কন্যাকে বাঁচাতে ঘরের আলমিরার
চাবি দিয়ে দিলে ডাকত দলের সদস্যরা তার ঘরে থাকা নগদ ১ লাখ ২২ হাজার টাকা,
সারে ৯ ভরি স্বর্ণ, ১ টি ল্যাপটপ, ২ টা মোবাইলসহ অন্য জিসিনপত্র নিয়ে যায়। এ
বিষয় টিপু সুলতান জানান, একই রাতে সংগঠিত চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঝালকাঠি
থানায় জানানো হলে পরের দিন সকালে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত
কুমার গায়েন ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে থানায় অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন।
থানা ওসির পরামর্শ মোতাবেক বড় ভাই কাঞ্চন আলি মিয়াকে নিয়ে ৩ জুলাই বিকেলে
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে যাই। তিনি আমাদের একটি
অভিযোগ দায়ের করতে বললে আমরা ডাকাতি মামলার অভিযোগ লেখার কথা বললে থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে চুরি মামলা করার পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ
মোতাবেক আমি একটি চুরি মামলা দায়ের করি যাহার নম্বর ০৫/১৬৭।
মামলা
দায়েরর পর কিছুদিন অতিক্রম হলে মামলার বিষয় থানা পুলিশের কোন তৎপরতা না
দেখায় আমি ও আমার বড় ভাই ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ
হাসানের স্বরনাপন্ন হই। তিনি মামলাটির বিষয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাষ দেন।
গতকাল ১৫ জুলাই আমরা দুই ভাই পুনরায় ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপারের নিকট
স্বরনাপন্ন হয়ে তাকে ডাকাতির বিষয় অবগত করলে তিনি আজ ১৬ জুলাই আমাদের
বাড়ীতে এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহেনের আশ্বাস
দেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন