রাজাপুর থানার সাবেক ওসি মুনিরের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে অভিযোগকারীর আদনানের স্বাক্ষ্য গ্রহন

রাজাপুর থানার সাবেক ওসি মুনিরের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে অভিযোগকারীর  আদনানের স্বাক্ষ্য গ্রহন

রিপোর্ট : ইমাম বিমান :ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানা থেকে ষ্টান্ডরিলিজ হওয়া সাবেক (ওসি) মুনির উল গিয়াসের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার তথ্য গোপন ও ভূয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে বিল-ভাউচার করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ তদন্তে স্বাক্ষ্য গ্রহন। 

 বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজির বরাবরে অভিযোগকারী ও ‘২০১৩ সালের পুলিশ হেফাযতে নির্যাতন প্রতিরোধ’ আইনের ১৫/১ ধারায় বিচারাধীন (নং-৪৮৪১৪/১৮) মামলার বাদী রাজাপুরের কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেন আদনানের স্বাক্ষ্য প্রদান করেছে। খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের স্বপক্ষে তথ্য প্রমান উপস্থাপন করি। এ সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে তদন্তের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর মো: রবিউল প্রায় ৩ঘন্টা সময় আমাদের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযোগের স্বপক্ষে সকল প্রমানাদি নিয়ে আমাকে গত ২৯ জুন রাজাপুর থানায় বেতার বার্তার (সূত্র নং-৭৩০৪,তাং- ২৯/০৬/২০১৯ইং)মোতাবেক ২ জুলাই সকাল ১০টায় খুলনা ডিআইজি কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। বিষয়টি রাজাপুর থানা সাবেক ওসি মুনির উল গিয়াস জানতে পেরে তার ঘনিষ্ট সহচর অলিউর রহমান ওলির মাধ্যমে আমাকে হুমকি প্রদান করে। ২ জুলাই স্বাক্ষ্য দিতে খুলনা যাওয়ার কথা থাকলেও ওসির সহোচর ওলির হুমকির কারনে খুলনা যেতে ব্যর্থ হলে ঐ দিনই বিষয়টি রাজাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করে মুনির উল গিয়াস ও তার সহযোগী ওলিসহ কয়েকজনের নামে একটি সাধারন ডায়রী (জিডি) করি যার নম্বর ৫৫।

স্বাক্ষ্য গ্রহনের বিষয় ইমরান হোসেন আদনান জানান, রাজাপুর থানার সাবেক ওসি ও বর্তমান কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ওসি মুনির উল গিয়াস ওরফে দিপু (বিপিনং-৭১৯৫৩৬১৬৪২) রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকা কালীন সময়ে আমাকে একটি চুরি মামলায় স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য থানায় নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে এবং আমাকে ও আমার ছোট ভাই সাংবাদিক কামরুল হাসান মুরাদকেও একটি মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলার আসামী করে চরম হয়রানি করে। আমি ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনিত অভিভোগ প্রমানিত না হওয়ায় ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে দুটি মামলায় আমরা নির্দোশ প্রমানিত হই।

‘২০১৩ সালের পুলিশ হেফাযতে নির্যাতন প্রতিরোধ’ আইনের ১৫/১ ধারায় ওসি মুনীর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আমি একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট আসামীদের বিরুদ্ধে রুল জারী করলে এখোন পর্যন্ত সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমার দায়েরকৃত মামলায় ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উক্ত (ফৌঃ রিভিশন নং-১৭২/১৭) তার বিরুদ্ধে সোমনাদেশ দিলে খুলনা পিটিসিতে কর্মরত মুনির উল গিয়াস একাধিক বার আসামী হিসেবে আদালতে হাজির হলে তা গোপন করে ঝালকাঠি পুলিশ অফিসের ক্লার্ককের সহযোগীতায় বেতার বার্তায় আসামী হিসেবে হাজিরার বদলে নিজেকে সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করে ভূয়া বেতার বার্তা প্রদানসহ মিথ্যা বিল-ভাউচার করে সরকারী তহবিল থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে সেই অর্থ আত্মসাৎ করার সংবাদ জানতে পারি এবং এ বিষয় আমি তার বিরুদ্ধে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ও সাতক্ষিরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget