নওগাঁর নিয়ামতপুরে গৃহবধু রুনা হত্যার ২বছরেও হত্যা রহস্যের জট খোলেনি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গৃহবধু রুনা হত্যার ২বছরেও হত্যা রহস্যের জট খোলেনি

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গৃহবধু রুনা হত্যার ২বছর গত হলেও হত্যা রহস্যের জট আজও খোলেনি। নিহতের রুনা মা জাহানারা মেয়ের সুবিচারের আশায় ভিকটিমের ছবি বুকে  নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় নওগাঁ পার্শ্ববতি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একবরপুর (ডাক্তার পাড়া) গ্রামের আনোয়ারুল মেয়ে রুনা বেগমে (২২) এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর গ্রামের ইব্রাহিম ডাক্তারের  ছেলে  জাহাঙ্গীর হোসেন (২৬) এর ৬বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জিহাদ (২) নামে তাদের এক সন্তান জন্ম হয়। বিয়ের পর হতে যৌতুক লোভি স্বামী প্রায় যৌতুকের জন্য রুনা বেগমকে চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায় মেয়ের সুখের জন্য রুনার বাবা ৭০ হাজার টাকা জাহাঙ্গীরকে দেয়। তারপরও জাহাঙ্গীর পূনরায় যৌতুক  জন্য রুনা কে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে। স্থানীয়রা ও ভিকটিমের পরিবার জানায় জাহাঙ্গীরের  অপর এক মেয়ের সঙ্গে পরকিয়ার সর্ম্পক থাকায় রুনাকে সে কারনে অকারনে নির্যাতন করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে গত ২৪ মে/১৭ তারিখে রুনাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার ৫/৭ জন বন্ধুকে নিয়ে এসে ঘটনার দিন রাতে বন্ধুদের হাতে রুনাকে তুলে দেয়। জাহাঙ্গীরের বন্ধুরা রুনাকে পালাক্রমে ধর্ষণ,ও মারপিটের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজেদের বাঁচানোর জন্য হত্যাকে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে চালিয়ে দেয়ার চেস্টা করে।ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে জাহাঙ্গীর তার শাশুড়ি জাহানারা কে ফোন করে জানায় তার মেয়ে অসুস্থ’ হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পরের দিন ভোরে  রুনার বাবা মা ও তার ভাই জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গিয়ে দেখে রুনা মারা গেছে। জাহাঙ্গীরকে রুনা কি ভাবে মারা গেছে জানতে চাইলে সে বলে রুনা গলায় ফাঁস দিয়ে  অত্মহত্যা করেছে। এসময় রুনার মা অন্যান্য মেয়েদের নিয়ে রুনার পড়নের কাপড় খুলে দেখতে পায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগও ধর্ষণের আলামত আছে। মেয়ের মুত্যুর দৃর্শ্য দেখে তার বাবা মা রুনার মৃত দেহ তাদের বাড়িতে নেয়ার কথা বললে জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় তড়িঘড়ি করে রুনার লাশ দাফন সম্পন্ন করে। পর দিন রুনার মা জাহানারা  বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় এ ঘটনায় মামলা করতে চাইলে থানার ও‘সি মামলা না নিয়ে তাকে র্কোটে মামলা করতে পর্রামশ দেয়। আবশেষে নিরুপায় হয়ে রুনার মা জাহানারা নওগাঁ জজ আদালতে ৫জনকে আসামী করে মামলা করে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্ত করে নিয়ামতপুর থানার ও‘সিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। নিয়ামতপুর থানার ও‘সি মামলাটি তদন্ত করে মামলাটি সত্য নয় মর্মে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরন করে। পরে ও‘সি প্রতবেদনের বিরুদ্ধে জাহানারা আদালতে নারাজি দাখিল করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি পূনঃ তদন্তের জন্য নওগাঁ জেলা  গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন কিন্তু  জেলা  গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তকারী  কর্মকতা পরির্দশক আমিনুল হক স্বাক্ষী গ্রহনের পরও র্দীঘ  ১বছর গত হলেও কোন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন নাই। এ বিষয়ে জেলা  গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তকারী  কর্মকতা পরির্দশক আমিনুল হক এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান মামলাটির তদন্ত প্রায় শেষের দিকে খুব তাড়াতাড়ি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ভিকটিমের মা জাহানারা জানায়, সে গোয়েন্দা পুলিশকে স্বাক্ষী দিয়েছে কিন্তু র্দীঘ ১বছর গত হলেও কোন প্রতিবেদন তদন্ত কারী কর্মর্কতা  আদালতে দাখিল করেন নাই। তিনি আরও বলেন তার মেয়ে রুনার লাশ কবর থেকে  উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য উদঘাটন হবে। তিনি  সুবিচারের জন্য প্রধান মন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget