নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় নির্মানাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। শুক্রবার সকালে সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার পাহাড়গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন, পাহাড়পুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম মো. ভুট্টো (২৩)। আহতরা হলেন, নিহত ভুট্টোর বাবা গোলাম মোস্তফা (৫৫) ও জিয়া উদ্দিন (২৩)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা আজহার আলী একটি নতুন ভবন নির্মাণ করছিলেন। ১৫-১৬ দিন আগে ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই করা হয়। সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বাঁশ ও কাঠের তক্তা খুলতে শুক্রবার সকালে সাড়ে ৮টার দিকে নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক আজহারের ছোট ভাই আশরাফুল নিচে নামে। নামার পরে তাঁর কোনো সাঁড়া-শব্দ না পেয়ে স্বজনেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের ডাকাডাকিতে প্রতিবেশি গোলাম মোস্তফার ছেলে ভুট্টো তাঁকে উদ্ধার করতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নামে। এক পর্যায়ে ভুট্টোও ট্যাংকের ভেতরে নেমে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁরও কোনো সাঁড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাঁদের উদ্ধার করতে ভুট্টোর বাবা গোলাম মোস্তফা ট্যাংকের ভেতরে নামলে তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কারও কোনো সাঁড়া-শব্দ না পেয়ে গ্রামের লোকজন সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ভেঙ্গে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেন। তাঁদের উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ নওগাঁ সদর মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুট্টোকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অসুস্থ গোলাম মোস্তফা ও আশরাফুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতলে স্থানান্তর করা হয়।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, অসচেতনতার কারনে নির্মাণাধীন সেপটিক টাংকের সার্টারিংয়ের বাঁশ ও কাঠ খুলতে গিয়ে একজনের মৃতু ও দুইজন গুরুতর অসুস্থ্য হয়েছেন। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন