প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের ভালাইন গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় ৬৫টি পরিবারের বাস। গ্রামটির প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ হাত পাখা তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দরিদ্র এসব পরিবার হাত পাখা তৈরিকেই এখন পেশা হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন।
প্রায় ২৫ বছর থেকে ভালাইন গ্রামে তালপাতা দিয়ে হাত পাখা তৈরি হয়ে আসছে। সময়ের পরিক্রমায় গ্রামটি এখন ‘পাখা গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হাত পাখা তৈরি করে অনেকের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন তারা।
তালপাতা দিয়ে তৈরি এ হাত পাখার চাহিদা বেশি থাকায় এখন সারাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে স্বল্প সুদে ঋণ ও সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আরও এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন এসব কারিগররা।
গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে বৈশাখ, জ্যেষ্ঠ, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ ও চৈত্রসহ কয়েকটি মাসে প্রচুর তাপদাহ থাকে। এছাড়া ভ্যাপসা গরম পড়ে এ সময়। তাই গরমকালে তাল পাতা দিয়ে তৈরি হাত পাখার চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতি বছর ভালাইন গ্রাম থেকে ঢাকা, সৈয়দপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড়, ফরিদপুর, দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলায় প্রায় পাঁচ লাখ পাখা সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
প্রায় ২৫ বছর থেকে ভালাইন গ্রামে তালপাতা দিয়ে হাত পাখা তৈরি হয়ে আসছে। সময়ের পরিক্রমায় গ্রামটি এখন ‘পাখা গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হাত পাখা তৈরি করে অনেকের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন তারা।
তালপাতা দিয়ে তৈরি এ হাত পাখার চাহিদা বেশি থাকায় এখন সারাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে স্বল্প সুদে ঋণ ও সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আরও এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন এসব কারিগররা।
গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে বৈশাখ, জ্যেষ্ঠ, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ ও চৈত্রসহ কয়েকটি মাসে প্রচুর তাপদাহ থাকে। এছাড়া ভ্যাপসা গরম পড়ে এ সময়। তাই গরমকালে তাল পাতা দিয়ে তৈরি হাত পাখার চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতি বছর ভালাইন গ্রাম থেকে ঢাকা, সৈয়দপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড়, ফরিদপুর, দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলায় প্রায় পাঁচ লাখ পাখা সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
পাখা তৈরির উপকরণ তালপাতা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগহ এবং বিক্রির কাজ মূলত পুরুষরাই করে থাকে। পাতা রোদে শুকিয়ে পানিতে ভেজানোর পর পরিষ্কার করে পাখার রূপ দেয়া হয়। এরপর রঙ মিশ্রিত বাঁশের কাঠি, সুই ও সুতা দিয়ে পাখা বাঁধার কাজটা করেন গৃহবধূরা।
সংসারের কাজের পাশাপাশি তৈরি করা হয় এ তাল পাখা। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা পাখা তৈরি করে বাবা-মাকে সহযোগিতা করে থাকে। তবে পাখা তৈরিতে যে পরিশ্রম ও খরচ সে তুলনায় দাম পান না কারিগররা। বিভিন্ন এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের। তবে স্বল্প পরিশ্রমে টাকা বিনিয়োগ করে বেশি লাভে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
গৃহবধূ আনজুয়ারা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে বিয়ে করে আসেন ভালাইন গ্রামে। এরপর দরিদ্র স্বামী মুক্তার হোসেনের কাছে পাখা তৈরির কাজ শেখেন। সেই থেকে পাখা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। আর এ পাখা তৈরি করে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করছেন। পাখা তৈরি করেই সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে বলে জানান তিনি।
পাখার কারিগর সাইদুর রহমান বলেন, জেলার সাপাহার ও পোরশা উপজেলা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আড্ডা ও রোহনপুর থেকে তালপাতা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি তালপাতার দাম পড়ে ৫ টাকা। এর সঙ্গে রঙিন বাঁশের কাঠি ও সুতা খরচ হয় দেড় টাকা। প্রতিটি পাখা তৈরিতে খরচ পড়ে সাড়ে ৬ টাকা। সেখানে আমরা পাইকারি বিক্রি করি পতি পিচ ১০-১২ টাকা। ঢাকা ও সৈয়দপুরসহ কয়েকটি জেলায় নিজে গিয়ে পাইকারি দিয়ে আসি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা পতিটি পাখা বিক্রি করেন ২৫-৩০ টাকা করে। পাখা তৈরিতে যে পরিম, সে তুলনায় দাম পাই না আমরা।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোবারক হোসেন বলেন, পাখা তৈরির কারিগররা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নিজেদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করে চলেছেন। আর্থিক কারণে যেন এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
সংসারের কাজের পাশাপাশি তৈরি করা হয় এ তাল পাখা। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা পাখা তৈরি করে বাবা-মাকে সহযোগিতা করে থাকে। তবে পাখা তৈরিতে যে পরিশ্রম ও খরচ সে তুলনায় দাম পান না কারিগররা। বিভিন্ন এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের। তবে স্বল্প পরিশ্রমে টাকা বিনিয়োগ করে বেশি লাভে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
গৃহবধূ আনজুয়ারা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে বিয়ে করে আসেন ভালাইন গ্রামে। এরপর দরিদ্র স্বামী মুক্তার হোসেনের কাছে পাখা তৈরির কাজ শেখেন। সেই থেকে পাখা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। আর এ পাখা তৈরি করে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করছেন। পাখা তৈরি করেই সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে বলে জানান তিনি।
পাখার কারিগর সাইদুর রহমান বলেন, জেলার সাপাহার ও পোরশা উপজেলা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আড্ডা ও রোহনপুর থেকে তালপাতা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি তালপাতার দাম পড়ে ৫ টাকা। এর সঙ্গে রঙিন বাঁশের কাঠি ও সুতা খরচ হয় দেড় টাকা। প্রতিটি পাখা তৈরিতে খরচ পড়ে সাড়ে ৬ টাকা। সেখানে আমরা পাইকারি বিক্রি করি পতি পিচ ১০-১২ টাকা। ঢাকা ও সৈয়দপুরসহ কয়েকটি জেলায় নিজে গিয়ে পাইকারি দিয়ে আসি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা পতিটি পাখা বিক্রি করেন ২৫-৩০ টাকা করে। পাখা তৈরিতে যে পরিম, সে তুলনায় দাম পাই না আমরা।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোবারক হোসেন বলেন, পাখা তৈরির কারিগররা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নিজেদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করে চলেছেন। আর্থিক কারণে যেন এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন